পাবিপ্রবিতে প্রথমবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (৩০ জুলাই) সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ মোট ১১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মোট ১০,৭৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির হার ছিল ৯৯ ভাগ। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একইসঙ্গে একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এক ঘন্টার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনটি ধাপের প্রথম ধাপের পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১৩ আগষ্ট বি ইউনিট এবং ২০ আগস্ট সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। পাবনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন বাহিনী সর্বাত্বক সহযোগিতা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ছাড়াও সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, রোভার স্কাউট, পাবনার বিভিন্ন সামজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জেলা ভিত্তিক ছাত্র কল্যান পরিষদ, ব্যক্তি উদ্যোগ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান ভর্তি পরীক্ষা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
উপ-উপাচার্য এস. এম মোস্তফা কামাল বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা সর্বোপরি পাবনাবাসী নিজেদের প্রতিষ্ঠান মনে করে সকল ধরনের সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পরীক্ষার অংশ হিসেবে আমরা প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করলাম। পরীক্ষা খুবই সুন্দর , সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমি আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, প্রক্টরিয়াল বডি, সরকারের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত, সর্বোপরি পাবনাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা একই ধারা অব্যাহত রাখব ইনশাল্লাহ।
এমএমএ/