মাদার বখশের ছাত্রলীগ নেতার সাময়িক হল সিট বাতিল
লেখা ও ছবি : আসাদুল্লাহ গালিব, প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়
অভিভক্ত বাংলার আইন পরিষদের সদস্য, ১৯৫০ সালে রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাষা সৈনিক, মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারী আমলে জেলখাটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাদার বখশের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহীর ‘মাদার বখশ হল’।
মাদার বখশ ১৯৫৩ সালে ঐতিহাসিক ভুবন মোহন পার্কে ঘোষণা করেছিলেন, ‘রাজশাহীতে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করা হয়, তাহলে আমরা আলাদা প্রদেশ ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’
এই হলের অন্যতম ছাত্র ও ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা গিয়াস উদ্দিন কাজলকে হলের আবাসিক ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। তিনি ইতিহাস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ও হল শাখার সহ-সভাপতি।
তার বিপক্ষে অভিযোগ আছে, তিনি সাংবাদিক নির্যাতন করেছেন।
গতকাল রবিবার রাত ১০টায়, তিনি মাদার বখশ হলের টিভি রুমে আয়েশ করে ধূমপান করছিলেন। তখন তাকে বাংলা বিভাগের মাস্টাসের ছাত্র ও বিডিমনিং ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. শাহাবুদ্দিন ছাত্রদের সুবিধার জন্য নিষেধ করেছেন।
এরপর সিনিয়রকে গায়ের জোরে মারধর করেছেন কাজল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলামকে আহবায়ক করে আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মেজবা-উস-সালেহীন ও অধ্যাপক ড. মো. আলী আহম্মদ সৈয়দ মোস্তফা জাহিদকে সদস্য করে একটি কমিটি তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের নেতৃত্বে ও দুই উপ-উপাচার্য অ্যাকাডেমিক অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম এবং শিক্ষা অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার উপস্থিতিতে, তাদের সূত্রে জরুরী সভায় তাদের কমিটি করা হয়েছে।
জরুরী ভিত্তিতে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে ও ছাত্রদের ভাষ্য নিয়ে তারা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। গেষ্টরুমে কাজ করছেন।
ওএস।