দাম কমানো, ভালো খাওয়ানোর দাবীতে ছাত্রীদের মানবন্ধন
লেখা ও ছবি : চৌধুরী মাসাবি, প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
‘হলের পানির সমস্যা সমাধান’, ‘ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু’, ‘খাবারের দাম কমানো’, ‘ভালো খাবার খাওয়ানো’ ও ‘নতুন আবাসিক হলে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা’-এই দাবীগুলো বারবার অনুরোধের পরও পূরণ করতে না পেরে সরকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক ছাত্রীরা অবস্থান ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছেন।
সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে ও হলের গেটে পাঁচ দফা দাবীগুলো আদায়ের জন্য মানববন্ধন করেছেন তারা।
তাদের আনুষ্ঠানিক দাবীগুলো হলো, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ’, ‘ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালুকরণ’, ‘খাদ্যে ভর্তুকি প্রদান’, ‘সাতদিনের মধ্যে হলের পানির সমস্যা সমাধান’ ও ‘নতুন আবাসিক হলে ছাত্রী উঠানো’।
এরপর তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বরাবর স্বারকলিপি দিতে গেলে তিনি তাদের স্বারকলিপি গ্রহণ করেননি।
এই মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাজী ফাইজা মেহজাবিন অভিযোগ করেছেন, ‘ছোট্ট বেড রুমগুলোতে আমাদের দুজনকে শেয়ার করে থাকতে হচ্ছে। অনেক কক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনকেও থাকতে হয়। তারপরও কেন আবাসিক সংকট কাটাতে কেন শেখ হাসিনা হলের কাজ শেষ হচ্ছে না? প্রশাসনের কাছে জবাব চাই।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের হলে পানি সংকট তীব্র। ফলে গোছল ও খাবারের পানির অভাবে এই হলের মেয়েদের অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। ক্যান্টিন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। মিল সিস্টেমেরও নেই ঠিক। মাস ফুরানোর আগেই মিল অফ হয়ে যাচ্ছে। কেন? টাকার জন্য। যদি সারা দেশের সব হলের মতো আমাদেরও ভর্তুকির ব্যবস্থা চালু করা হয়, তাহলে মেয়েদের কষ্ট অনেক কমবে।’
এই হলের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক অপর্ণা নাথ বলেছেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল নতুন হল শিক্ষার্থী তুলবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন, কিন্তু আমাদের এখনো কোনো সমাধান আসেনি। আমরা বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিতে চেয়েছি, সেটি তিনি গ্রহণ করেননি।’
স্মারকলিপি গ্রহণ না করার বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেছেন, ‘তারা হলে উঠতে চায় আমিও ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিতে চাই। তাদের কারো সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নাই। আর এই স্বারকলিপি গ্রহণ করার তো কিছু নেই। কেননা তাদের যেসব দাবি আছে, সেগুলো আমি শুনেছি। আমি সবাইকে নিয়ে এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করছি। আশা করি, খুব দ্রুত কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে।’
ওএস।