বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, ফের ঊর্ধ্বমুখী সোনার দাম
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববাজারে সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড করার পর কিছুটা কমলেও, ফের বাড়ছে এই মূল্যবান ধাতুটির দাম। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৫০ ডলার বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন থেকে সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। ৭ জুন প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২,২৯৩ ডলার, যা ১৬ জুলাই বেড়ে দাঁড়ায় ২,৪৬৮ ডলারে। তবে দাম বাড়ার এই প্রবণতা এখানেই থামেনি। ২০ সেপ্টেম্বর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স সোনার দাম ২,৬০০ ডলার স্পর্শ করে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর তা বেড়ে ২,৬৮২ ডলারে পৌঁছায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মূল্য।
এই সর্বোচ্চ রেকর্ডের পর সোনার দামে সাময়িক পতন দেখা যায়। একাধিকবার দরপতনের পর, ১ অক্টোবর প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে দাঁড়ায় ২,৬৩১ ডলারে। এরপরও সোনার দামে ওঠানামা চলতে থাকে, এবং ১০ অক্টোবর লেনদেনের এক পর্যায়ে দাম নেমে আসে ২,৬০৬ ডলারে। তবে দিন শেষে আবারও বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়, যা অব্যাহত থাকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। এর ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়ায় ২,৬৫৭ ডলারে, যেখানে একদিনে ২৩.৮৫ ডলার বা ০.৯১ শতাংশ বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমতে থাকায়, ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে কিছুটা মূল্য কমানো হয়। সে সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১,২৫৯ টাকা কমিয়ে ১,৩৭,৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একইভাবে ২১ ক্যারেটের সোনার দাম ১,২০১ টাকা কমিয়ে ১,৩১,১৯৭ টাকা করা হয়।
১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ১,০৩৮ টাকা কমিয়ে ১,১২,৪৫৩ টাকায় নির্ধারণ করা হয়, এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ৮৭৪ টাকা কমিয়ে ৯২,২৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে, ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩,০৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৩৮,৭০৮ টাকা করা হয়েছিল। ২১ ক্যারেটের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১,৩২,৩৯৮ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ২,৪৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১,১৩,৪৯১ টাকা করা হয় এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ২,১২২ টাকা বাড়িয়ে ৯৩,১৬০ টাকায় বিক্রি হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।