ডিসেম্বরের শেষে বাজার স্বাভাবিক হবে : বাণিজ্য সচিব
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফাইল ছবি
ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। সম্প্রতি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য কমাতে চেষ্টা করছি। তবে নতুন উৎপদিত পণ্য বাজারে এলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক হতে পারে। বাজার মনিটরিংয়ের কারণেই দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মন্তব্য করে সচিব বলেন, তা নাহলে বাজারে পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ত।
আমদানির কারণে ডিম ও আলুর দাম কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগে চাপের মধ্যে থাকতে হবে।
বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে সচিব বলেন, মৌসুমটা এমন যে বছরের শেষ পর্যায়, এ সময়ে বাজারে স্টক থাকে না। কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে এই সময় পণ্য থাকে। এ কারণেই এই সময়ে দাম বাড়ে।
তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজের যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে, তাতে কেজিপ্রতি পড়ে ১৩০ টাকা। দামের বিষয়ে ডিসির নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিংসহ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ডিম ও আলুর পর এবার লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সচিব জানান, প্রাকৃতিক কারণে লবণের উৎপাদন মৌসুম বিলম্বিত হচ্ছে। বাজারে যেন লবণের কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ১৫ দিন আগে থেকেই লবণের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। উৎপাদন কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এ কারণে মন্ত্রণালয় মনে করেছে যে, পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কিছু লবণ আমদানি করে রাখলে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডিম আমদানির বিষয়ে তপন কান্তি জানান, ডিম আমদানিতে দেরির কারণ বার্ড ফ্লু পরীক্ষা। ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। এখন ডিম আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব সতর্কতা হিসেবেই এই অনুমোদন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণে লবণ আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে সেজন্যই পূর্ব সতর্কতা হিসেবে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সচিব জানান, গত বছর সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল বলেই কিন্তু কুরবানির ঈদের সময়ও আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তখন যথেষ্ট লবণ ছিল।