ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫ লাখ টন হলেও যথাযথ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ২০-২৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেশীয় উৎপাদন চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়। এতদিন পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরযোগ্য উৎস ছিল ভারত।
তবে রফতানি নিষেধাজ্ঞা এবং সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে বিকল্প উৎস খুঁজছেন ব্যবসায়ীরা। গত ছয় মাসে ভারত ব্যতীত আমদানি হওয়া পেঁয়াজের ৪৭ শতাংশই এসেছে পাকিস্তান থেকে।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, মিসর, চীন, মিয়ানমারসহ আটটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য, কারণ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দেশটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প উৎসে পরিণত হয়েছে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে জুলাইয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ টন এবং সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৩৩৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
দেশীয় বাজারে বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে রফতানিমূল্য বাড়ানোর কারণে বিকল্প দেশগুলোর প্রতি ঝোঁক বেড়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে ভারত থেকে আমদানি কমে গেলে পাকিস্তান, মিসরসহ বিকল্প উৎসগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। পেঁয়াজের মতো পচনশীল পণ্যের সহজ পরিবহনের কারণে ব্যবসায়ীরা সীমান্তবর্তী দেশগুলোর ওপরই বেশি নির্ভরশীল থাকবেন।