দেশীয় পণ্যে সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয়: এফবিসিসিআই সভাপতি
বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়েনি। তাই দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যে কোন সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট, আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর দেশীয় শিল্পকে এখনকার মতো সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই ২০২৬ সালের আগে কর ও শুল্ক ছাড় দিয়ে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মূলত বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও এনবিআর এর সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে নানা সংশোধনের কারণে ২০১২ সালের ভ্যাট আইনটি এখন সেলস ট্যাক্স আইনে পরিণত হয়েছে। তিনি এই আইনের মৌলিক সংস্কারের সুপারিশ করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা যেন কর কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার না হন। এজন্য অবশ্যই রাজস্ব বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতার আনার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘আগামী বাজেটে ম্যান মেড ফাইবারের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার, স্পেয়ার পার্টস আমদানিতে শুল্কের একক হার এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত বস্ত্রখাতে ১৫ শতাংশ কর্পোরেট কর বহাল রাখা দরকার।’
এ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম.এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক হারুন অর রশীদ, আমজাদ হোসাইন, মো. নাসের, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, আবুল কাশেম খান।
জেডএ/এসআইএইচ