শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাথাপিছু আয় বাড়ছে, মানুষ ছুটছে টিসিবি’র ট্রাকের পিছে

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে দেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে যা ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২৭ ডলার।
এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) তথ্যমতে, করোনাকালে তরুণদের ২৫ শতাংশ বেকার হয়েছে। বিবিএসের তথ্য মতে, এপ্রিল –জুলাইয়ে বেকারত্ব ১০ গুণ বেড়েছে। আর বিআইডিএস’র তথ্য মতে করোনায় আয় কমেছে ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে আয় বাড়ল কার?

রাজধানীতে টিসিবির নিত্যপণ্যের ট্রাকের পিছনে লাইন দিন দিন লম্বা হচ্ছে। বাজার থেকে কিছু কম দামে চাল, ডাল, তেল, পাওয়া যায় ট্রাকে। আর এরজন্য লাইনে আগে দাঁড়ানো নিয়ে রীতিমত হুড়োহুড়ি চলে। দিন পেরিয়ে যায় লাইন ছোট হয় না। লাইনে দাঁড়ানো সবাইকি নিম্ন আয়ের? এটা ভাববার বিষয়। কারণ লাইনে যারা দাঁড়ানোরা অনেকের চেহারায় তা বলে না। এখন আর টিসিবির লাইনে কেবল নিম্ন আয়ের মানুষ দাঁড়ায় না। মধ্যআয়ের অনেকেই মাথা নিচু করে হউক আর মুখ ঢেকে হউক লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয় মিলাতে পারছে না বলেই এ পরিস্থিতি।

নিত্যপণ্যের দামে পাগলা ঘোড়া

 

বাজার পরিস্থিতি কি বলে?

সরকারি হিসেবেই বছরের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। ভোজ্যতেলে প্রায় ৩৫ শতাংশ, ডালে ৪৪, আটা ২৫, চিনিতে ১৩, ডিমে ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া মুরগি, গরু, খাসির মাংস ও মাছের দামও বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। ৬০০ টাকা কমে গরু ও ৯০০ টাকার কমে পাওয়া যায় না খাসীর মাংস। ২০০ থেকে ৩৫০ টাকার রুই ও কাতলা মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা হয়েছে। একই সঙ্গে ৭০ থেকে ১০০ টাকার আদার কেজি ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এভাবে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকার কেজি লবঙ্গ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। শুধু তাই নয়, শিশু খাদ্য গুঁড়ো দুধের দামও বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

এ যখন বাজারের অবস্থা তখন টিসিবির লাইনে না দাঁড়িয়ে উপায় কি? বাস্তব পরিস্থিতি হচ্ছে, করোনাকালে যারা চাকরি হারিয়েছেন বা যাদের বেতন কমেগেছে, তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের লাগাম টানতে পেরেছেন কতটা? একজন মধ্যআয়ের ব্যক্তি যিনি ২০ হাজার টাকার বাসায় ভাড়া থাকেন, যার দুটি সন্তান আছে স্কুলে বা কলেজে পড়ে। তাদের জন্য ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরার কি কোনো উপায় আছে? সন্তানদের পড়াশুনার খরচ, সামাজিক অবস্থা, চিকিৎসা ব্যয়ে কি লাগাম টানা যায়? তাহলে আয় বাড়ার ফর্মূলাটা কি?

আয় বাড়ল কার?

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান হচ্ছে, ঠিক করোনার বছরেই মোট ১০ হাজার নতুন কোটিপতি যুক্ত হয়েছেন ব্যাংক ব্যবস্থায়। আর ৫০ কোটি টাকার ওপরে আমানত রেখেছে, এমন হিসাবের সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯০-তে।

২০১৮ সালে ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আড়াই শ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিকদের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। মহামারির মধ্যেও অবিশ্বাস্য খরুচে সব প্রকল্পের কাজও থেমে নেই।

 

মাথাপিছু আয় কি?

মাথাপিছু আয় বলতে কোন দেশের মোট আয়কে জনপ্রতি ভাগ করে দিলে যা হয়, তাকে বোঝায়। জনগণের সর্বমোট ব্যক্তিগত আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। সাধারণতঃ মাথাপিছু আয়কে টাকা প্রতিবছর এককে প্রকাশ করা হয়।

মাথাপিছু আয় কিভাবে নির্ণয় হয়

বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস এই হিসাব করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এক বছরে দেশজ উৎপাদন থেকে যে আয় হয়, তার সঙ্গে রেমিট্যান্স যোগ করে জাতীয় আয় বের করা হয়। সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে গড় মাথাপিছু বের করা হয়।

তবে মাথাপিছু আয় নির্ণয়ের এই পদ্ধতিতে বিরোধ আছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে। কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ মনে করেন, সরকারি হিসাবকে কাগজেকলমে হিসাব। এই পরিসংখ্যানে দেশের মানুষের আয়ের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে দ্রুত ধনী এবং অতি ধনী হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু গরীব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে সমাজে বৈষম্য এবং মানুষের আয়ের ফারাক অনেক বেশি হচ্ছে। এই পরিস্থিতির প্রতিফলন সরকারি হিসাবে আসছে না।

তবে অন্যদল অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাংলাদেশে যে পদ্ধতিতে মাথাপিছু আয় বের করা হয় তা জাতিসংঘের স্বীকৃত পদ্ধতি । বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির খবর আমাদের আন্দোলিত করে বটে, কিন্তু লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে সাধারণ মানুষের নাবিশ্বাস। এ থেকে মুক্তির পথ বের না হলে, মধ্যবিত্ত শ্রেণী দরিদ্র আর দরিদ্র শ্রেণী আরও দরিদ্র হওয়া ছাড়া আর গত্যন্তর থাকবে না।

 

 

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার

রূপালি । ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার তেঁতুলতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়শা সিদ্দিকা রূপালির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে তেঁতুলতলার আব্দুর রহিম পাগলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন জানান, গ্রেফতারের পর আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান