ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প
করপোরেট কর ১৫% করার দাবি এফবিসিসিআই’র

দেশে বেশিরভাগ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের। তাই এ খাতের করপোরেট করহারও কম হওয়া উচিত। প্রতিযোগীতা সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের করপোরেট কর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভুঁইয়া বলেন, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের করপোরেট করহার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হলে তা এ শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে। এ শিল্পের সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের স্বল্পমূল্যে জমির বন্দোবস্ত করাও দরকার।
সভায় প্রধান অতিথি এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, আজকের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলো। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে এ শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখাতের উন্নয়ন ছাড়া শিল্পায়ন সম্ভব নয়। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ না থাকলে শিল্পের সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়বে। তাই এ শিল্পের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ড.যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন, ‘এ খাতের জন্য আলাদা শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ দরকার। এলডিসি পরবর্তী শিল্পায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্প্রসারণ অপরিহার্য।’
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ও বন্দর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স ও নবায়নের বিধান, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় পিপিআরের বিধান লঙ্ঘন, একই পণ্য আমদানিতে রপ্তানিমুখী ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের মধ্যে শুল্ক বৈষম্যকে এ শিল্পের বিকাশে প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এসময় তারা আগামী শিল্পনীতিতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকজকে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বলমূল্যে জমি প্রদান, বিসিককে আরও গতিশীল ও উন্নত করা, পিপিআর এর বিধান অনুযায়ী সরকারি ক্রয়ে স্থানীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া ও দেশে উৎপাদিত পণ্যের সুরক্ষায় আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার দাবি জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরীওয়াল, হারুন অর রশীদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান চৈতন্য কুমার দে (চয়ন), মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ, জিয়া হায়দার মিঠুসহ অন্যা সদস্যরা।
জেডএ/
