মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের সব লকার স্থগিত

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকার কয়েন ভল্টে অর্থসম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সন্দেহ করছে, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছাড়া অন্য কেউ ব্যাংকের লকার বা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারে না। দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে আপাতত নতুন করে কোন লকার বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে আগের লকারগুলো যাতে আপাতত খোলা না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেফ ডিপোজিট (লকার) হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের সম্পদ রাখতে পারেন। যেসব সম্পদ বাসায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ ডাকাতির ভয় আছে মূলত সেইসব সম্পদই সেফ ডিপোজিট হিসেবে সিলগালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখা হয়। এই সংখ্যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক শতাংশেরও কম। কিন্তু একজন এসকে সুরের কারণে আমাদের এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে লকার ফ্রিজের অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজের সম্মতি দেন।

দুদক গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লকার খোলা ও তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের আদেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দুদক লকার খোলার ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, দুদকের অনুসন্ধান দল সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরে তার লকার খুলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারসহ ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়।

তল্লাশির সময় দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেশকিছু লকার সিলগালা অবস্থায় রয়েছে। দুদক মনে করছে, এসব লকারে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে।

দুদক বলেছে, লকার খুলে রক্ষিত সম্পদ যাতে কেউ সরিয়ে নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Header Ad
Header Ad

বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী ২১টি কোম্পানির বাস আগামী বৃহস্পতিবার থেকে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এই উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম।

মঙ্গলবার রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “আগামী বৃহস্পতিবার থেকে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে বাস চলাচল শুরু হবে। এই রুটে প্রায় ২,৬১০টি বাস চলবে, এবং প্রতিটি বাসের রঙ হবে গোলাপি। এসব বাসে টিকিট ছাড়া যাত্রী উঠতে পারবেন না এবং যত্রতত্র ওঠা-নামাও নিষিদ্ধ থাকবে।”

মো. সাইফুল আলম আরও বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে ঢাকা শহরে বাস-মিনিবাস চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছিল, যা সড়কে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং যানজট, বিশৃঙ্খলা, দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সভাপতিত্বে এক সভায় এই পরিস্থিতি নিরসনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে গাড়ির মালিকরা চালকদের সঙ্গে ট্রিপ ভিত্তিক চুক্তির বদলে পাক্ষিক বা মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি করবেন।”

এই কার্যক্রমের আওতায় প্রথমে গাজীপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে বাস চলবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আব্দুল্লাহপুর থেকে কাউন্টার সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে। চলতি মাসের মধ্যে মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর এলাকাতেও একই পদ্ধতি চালু হবে।

এছাড়া, বাসচালক ও সহকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা টিকিট পদ্ধতি অনুসরণ করে যাত্রী পরিবহন করতে পারেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন, এবং দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্তকরণ, ফ্রিজ ও উদ্ধারে সহায়তা প্রার্থনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট অভিজাত শ্রেণি, ঘনিষ্ঠজন ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে এবং টরন্টোর কুখ্যাত ‘বেগমপাড়া’ এলাকায় সম্পদ কেনাসহ এর একটি অংশ কানাডায় পাচার করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “তারা আমাদের জনগণের কাছ থেকে টাকা চুরি করে বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছেন। এই সম্পদ পুনরুদ্ধারে আপনার সহায়তা প্রয়োজন। এটি আমাদের জনগণের টাকা।”

কানাডার হাইকমিশনার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কানাডার সহায়তার জন্য প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে চিহ্নিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ ফ্রিজ করে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, “কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আরও বিনিয়োগে আগ্রহী।” রাষ্ট্রদূত জানান, শিগগিরই কানাডার একজন মন্ত্রী বাংলাদেশের সফর করবেন পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।

প্রফেসর ইউনূস নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার বৈঠক স্মরণ করেন এবং জানান, “ঢাকায় কানাডার আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা চাই কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।”

এ সময় তিনি কানাডার ভিসা অফিস ঢাকায় স্থাপনের প্রস্তাবও দেন, কারণ অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছেন।

এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত

চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ গণমাধ্যমকে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ।

অন্তত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন ভর্তিপ্রার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও ইউজিসি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে দুটি গেট অবরোধ করেন তারা। তবে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জেনে তারা গেট খুলে দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস সেনাবাহিনীর
১৭ বছর পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই সাকিব
সিরিয়ায় নির্বাচন হতে লাগবে আরও ৪-৫ বছর: অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা
ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ নতুন ভোটার: ইসি সচিব
রাঙামাটিতে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গলা কেটে হত্যা
টিকটকে প্রেম নওগাঁর মোমিনের সাথে পালায় সুবা  
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত প্রায় ৬২ হাজার, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো মরদেহ
অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি কমানো : অর্থ উপদেষ্টা
আগামী বছর থেকে বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবে না সাদপন্থীরা
প্রেমিকের সাথে নওগাঁয় পালিয়েছে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী সুবা বলছে পুলিশ
মোদীকে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ, আগামী সপ্তাহেই বৈঠক
লায়লাকে হত্যাচেষ্টা, টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের সব লকার স্থগিত
প্রেস সচিবের দাওয়াতে ময়ুখ জানালো বাংলাদেশে এসে কাচ্চি, পায়েস, ফিন্নি খাবেন
জাবিতে ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু  
দেশে অবৈধ ৫০ হাজার বিদেশির মধ্যে ১৫ হাজার দেশ ছেড়েছেন