বাজেট প্রস্তাবের পরদিনই বাজারে পণ্যের দামে উত্তাপ, নাজেহাল ক্রেতারা
ছবি: সংগৃহীত
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের ওপর উৎস কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ ঘোষণার প্রভাব পড়েনি রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে।
ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে অত্যন্ত চড়া দামে। এই তিন পণ্য ছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই কমবেশি বাড়তি। যে কারণে বাজারের খরচ জোগাতে নাজেহাল পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হয়নি এখনো। প্রস্তাবনায় রয়েছে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমার আভাস। অথচ এরই মধ্যে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিক্রি হওয়া ৪০ টাকা কেজির ঢেঁড়স আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। করলা ৭০ থেকে ৮০ আর বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেঞ্চুরি হাকিয়েছে কাকরোল ও ঝিঙা। বেড়েছে টমেটোর দামও।
ক্রেতারা বলছেন, গতকাল বাজেট হয়েছে, আজ কাঁচা বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। প্রত্যেকটা সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়তির ফলে কম বাজার করতে হচ্ছে এখন।
সবে মাত্র প্রস্তাব, এখনো পাস হয়নি বাজেট। এরই মধ্যে বাজারের এমন উত্তাপ দুশ্চিন্তায় ফেলছে ক্রেতাদের। বাদ যায়নি, বাজেট নিয়ে সমালোচনাও। কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামান্য কিছু কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি যারা চাকরি করি, ইনকাম করে কর দিই তাদের জন্য এটা অন্যায় করা হয়েছে।
পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ ও রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর বাজারে দাম কমতে থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, আলুর দাম কিছুটা কমেছে। সামনে আরও কমার সম্ভাবনা আছে, তবে বাড়বে না হয়তো।
৭৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও মুরগি আগের দামেই রয়েছে। সহনশীল রয়েছে মাছের বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে ক্রেতা কম বলে জানায় বিক্রেতারা।
এদিকে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে কঠোর মনিটরিংয়ের দাবি সাধারণ মানুষের।