ইভ্যালির দুই লকারে মিলল মাত্র ২৫০০ টাকা!
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুইটি লকার কাটা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এই দুইটি লকার কাটা হয়। লকার দুইটি কাটার পর এর ভেতরে নগদ ২৫৩০ টাকা এবং ১০৭টি চেক বই পাওয়া যায়।
এরমধ্যে নগদ দুই হাজার পাঁচশত ত্রিশ টাকা পাওয়া যায় একটি লকারে, আর অন্য লকারে পাওয়া যায় ১০৭টি চেক বই। এরমধ্যে সিটি ব্যাংকের ১০টি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি চেক বই পাওয়া যায়।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশফিয়া সিরাতের উপস্থিতে লকার কাটার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা দু’জন এখনো কারাগারে।
এদিকে ইভ্যালির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে গত বছরের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রিটের শুনানি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ ও অন্যান্য দায়-দেনা পরিশোধে করণীয় নির্ধারণসহ এর কার্যক্রম চালুর বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে (মানিক) চেয়ারম্যান করে গঠিত এই পর্ষদে সদস্য হিসেবে আছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে পরিচালনা পর্ষদ।
লকার ভাঙার পর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা খুব হতাশ। ভেবেছিলাম এখানে টাকা-পয়সা থাকতে পারে।
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মোটামুটি আন্দাজ পেয়েছি যে, টাকা পাচার হয়ে থাকতে পারে।
পর্ষদ চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের মাধ্যেম নিয়োগ পাওয়া ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়।
এমএ/এমএমএ/