সংযমের মাসেও সংযম হারাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার !
ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।
সংযমের বার্তা নিয়ে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। সিয়াম সাধনার পবিত্র এই মাসে যেন সংজম হারাচ্ছে নিত্যপন্যের বাজার। রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে সরকারের কড়া নির্দেশনা থাকলেও তা তোয়াক্কা করছেন না ব্যবসায়ীরা। যেন রিতিমত দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারা।
ইফতারের প্রধান উপকরণ লেবু মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ডজনে। যেখানে মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ডজন প্রতি দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা দরে। এ ছাড়া টমেটো, গাজর, বেগুন, কাঁচা মরিচ, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দেশী-বিদেশী ফলমূল সবই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এদিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে মাংসের বাজার। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। ছাগল ১০৫০ এবং খাশি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়।
এদিকে কোন কারন ছাড়াই বেড়েছে মুরগির দাম। গেল সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে বেড়ে ৭০০ টাকায়।
এদিকে স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের জাতীয় মাছ খ্যাত পাঙাশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০, শিং ৪৮০ থেকে ৫০০, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০, কই ৩০০, দেশি ছোট কই ৬০০ থেকে ৭০০, পাবদা মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০, চিংড়ি ৮০০, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
এদিকে রমজানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে । খেসারি ১৩০, প্রতি কেজি মোটা, মাঝারি ও সরু দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১৪০, মানভেদে প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর মুগ ডালের কেজি পড়ছে ১৩০ থেকে ১৮০ টাকায়।
এদিকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লিটারে ১০ টাকা কমে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৩ টাকায়, এবং খোলাবাজারে প্রতি লিটার ভোজ্য তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ থেকে ১৫২ টাকায়।
এছাড়াও সরকারের দাম বেধে দেওয়া চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায় এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১৪৩ থেকে ১৪৫ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ঠিক থাকলেও আড়তে বেশি দামের কারণে বাড়তি দরে বিক্রি করছেন তারা।
এদিকে পণ্যের দাম বেশি থাকায় রিতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের । ক্রেতাদের দাবি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সেইসাথে নিয়মিত বাজার মনিটরিং বাড়ানোর ।