যেমন ছিল রমজানের ১ম দিনে ইফতারের বাজার
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
রমজানের ১ম দিনে বেসামাল অবস্থা ইফতারের বাজার। একদিকে ক্রেতার চাপ অন্য দিকে রিতিমত দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৭০ টাকা কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
ইফতারের প্রধান আকর্ষণ লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ডজনে। যেখানে মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ডজন প্রতি দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এদিকে খেজুরের দাম ছুটেছে লাগামহীন। আগের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২০ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
মেডজুল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়, যা কয়েক দিন আগেও ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজিতে জিহাদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। এছাড়া তিনেশিয়া ৫৫০ ও সুফ্রি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া সাধারণমানের এক কেজি জায়েদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় , আজওয়া ১ হাজার, মরিয়ম ১ হাজার ২৫০, দাবাস ৪৫০, বরই খেজুর ৪৫০ ও আদম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
সেই সাথে ছুটছে ফলের দামও। গত এক মাসের ব্যবধানে আমদানি করা আপেল-কমলার দাম কেজিতে ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। মাল্টা ৩০০, আঙুর ৪০০-৪২০ টাকা এবং তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে ।
এদিকে বাজারে খুচরা পর্যায়ে কলার দামও প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। শবরি কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায়, বাংলা কলা ১০০, চাঁপা কলা ৭৫ ও সাগর কলা ১৪০ টাকায়।
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মালের যোগান কম এবং আনুসাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধিকে দুষছেন বিক্রেতারা । এদিকে ক্রেতারা বলছেন বাজার মনিটরিং জোরদার করলেও তার ছিটেফোটা মিলছেনা বাজারে। প্রতিবছরই রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ভোক্তারা । সেই সাথে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বাজার সংশ্লিস্টরা।