পরিবেশবান্ধব কারখানার বিকল্প নেই: সিপিডি
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাই শিল্পখাতের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে বলে সিপিডি মনে করে।
মূল প্রবন্ধে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিশ্ববাজারে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের অবস্থান আরও ভালো করতে হলে পরিবেশবান্ধব বা সবুজ কারখানার বিকল্প নেই। শ্রমিকের জীবনমানের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন এখন থেকেই সমন্বিত উদ্যোগ।
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে রোববার (৩০ জানুয়ারি) ‘বাংলাদেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে সবুজ পরিবর্তন’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে সিপিডি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের কারখানা সবুজায়ন হলে এ খাতের আয় বাড়বে। এর সুফল পাবে গোটা অর্থনীতি। সেই সঙ্গে পরিবেশেরও সুরক্ষা হবে।
ফাহমিদা বলেন, ‘দেশের প্রধান রপ্তানি খাতটি ভালো করছে, রপ্তানিও বাড়ছে। তবে সামনের দিনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পরিবেশ ইস্যু। এ ক্ষেত্রেও ভালো করতে হবে। রানা প্লাজা ধসের পর নানা ধরনের কমপ্লায়েন্স পূরণে সক্ষম হয়েছে খাতটি। ফলে পরিবেশ ইস্যুতেও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সেগুলো হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ও তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে নীতিসহায়তা ও অর্থনৈতিক সহায়ক পণ্যগুলো পর্যাপ্ত নয়। সবুজায়নের পথে কারখানা আধুনিকায়ন ও উৎপাদনশীলতার জন্য বিনিয়োগের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলোর সে সক্ষমতা নেই বললেই চলে। আবার দীর্ঘদিন ধরে পোশাকপণ্যের দাম না বাড়ায় খাতটির উদ্যোক্তারাও আর্থিকভাবে আশানুরূপ সফলতা পাচ্ছেন না। কিন্তু পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে দরকার বড় বিনিয়োগ। তাই গ্রিন ফ্যাক্টরি নির্মাণে আগ্রহে ভাটা পড়ছে।
সিপিডি জানায়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪১ লাখ মানুষ নিয়োজিত। বছরে এখান থেকে প্রায় ৩২ বিলিয়ন (৩২০০ কোটি ) ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশের বেশি। তাই খাতটির ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিজিএমইএ অনেক আগে থেকেই সবুজ শিল্পায়ন নিয়ে কাজ করছে। আরও কাজ করতে চাই। ইতোমধ্যে ১৫৭টি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হয়েছে। বর্তমানে কাঁচামালের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব গার্মেন্টস মালিকদের ওপর বেশি পড়েছে। বায়ারদের কাছে পণ্যের দাম বাড়িয়ে নিয়েও রিকভারি হচ্ছে না। কাঁচামাল ও শিপিং কষ্ট বাড়ার কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে।’
জেডএ/