আজ পর্দা উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার
ছবি: সংগৃহীত
আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, এবারের মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা। এবার প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়াও থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র। মেলায় সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া ও ভারতসহ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এদিকে মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য গতবারের মতো শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে, তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
শনিবার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তখন তিনি জানান, মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতে বিআরটিসির ৬৪টি শাটল বাস চালু থাকবে। এর মধ্যে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৪০টি বাস চালু থাকবে। আর ফার্মগেইট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ২৪টি বিআরটিসি শাটল বাস চালু থাকবে।
টিটু বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রপ্তানিকে বহুমুখী করার মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো। গার্মেন্টেস খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা। তিনি বলেন, আমরা এখন পাট এবং চামড়া শিল্পের ওপরে বিশেষ নজর দিচ্ছি। এই দুই খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর মেলা প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে আনার জন্য মেলার প্রবেশদ্বার করা হয়েছে কর্ণফুলী ট্যানেলের আদলে। এক পাশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অপর পাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের প্রতিচ্ছবি রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বা ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারি রাখা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে আজ ২১ জানুয়ারি মেলা শুরু হচ্ছে। মেলার আয়োজক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, এবার মেলায়, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন। মেলায় ই-কমার্স সেবাকে আরও বেগবান করা হবে। যাতে সারা দেশের মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে। মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে উত্তরা থেকে যারা মেলায় আসবে তারা মেট্রোরেল এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে আসতে পারেন।