রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ৮ দিনে এলো ৫৩ কোটি ডলার
ছবি: সংগৃহীত
দেশে ডলার বাজারের চরম অস্থিরতা যেন কোনোভাবেই কাটছে না। উল্টো সংকট আরও বাড়ছে। ডলারের অভাবে আমদানিতে আরোপ করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। সংকট নিরসনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও কোনো উদ্যোগ কাজে আসছে না।
তবে আশার দিকও রয়েছে। চলতি ডিসেম্বরেই আইএমএফ লোনের দ্বিতীয় কিস্তি আর এডিবির লোন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এতে রিজার্ভ কিছুটা বাড়বে। আবার বিজয়ের মাসে আরও ইতিবাচক হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। ডিসেম্বরের আটদিনে বৈধ উপায়ে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে গড়ে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার ডলার।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম আট দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার। অক্টোবর মাসে এসেছিল ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।