‘মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় হতে হবে’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/টরটিলা), অ্যারোসলস, গিজারসহ নতুন ১০টি পণ্যেকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভূক্ত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পণ্যের মান প্রনয়ণ ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় এ ১০টি নতুন পণ্য অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত বাকী পণ্যের মধ্যে রয়েছে, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি।
এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মো. আবদুসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষায় বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
জেডএ/এমএমএ/