ডিমের ডজন ১০৫ টাকা, কমেছে আদার ঝাঁজ
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির সাদা ডিমের দাম কমে ১০৫ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। আগের মতোই মাছ, মাংস কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আদার ঝাঁজও কমেছে। তেল-চিনিও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মাঠ থেকে আমন ধান উঠে প্রায় শেষে পর্যায়ে ।
তারপরও বাজারে কমেনি চালের দাম। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে শীতের সব সবজি বাজারে আসায় কম দামে প্রায় সবজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ভরা মৌসুমেও মোটা চাল ৫০ টাকা
মাঠের আমন ধান উঠা প্রায় শেষ। তারপরও কমেনি চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিবসহ অন্য বিক্রেতারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ধান উঠা শেষ। তারপরও কোনো চালের দাম কমেনি। মিনিকেট চাল এখনো আগের মতো ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, ২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা চাল ৫০, বাসমতি ৮৮, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পোলাও চালের দামও অনেকে বেশি বেড়েছে। খোলা এই চালের কেজি আগে ১২৫ টাকা বিক্রি করা হলেও তা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর কোম্পানির প্যাকেট চালের কেজি ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
স্বাভাবিক তেল ও চিনি বাজার
আগের সপ্তাহে সহজে তেল চিনি পাওয়া না গেলেও শনিবার প্রায় দোকানে দেখা গেছে থরে থরে সাজানো। বিক্রেতারাও সরকারের বেধে দেওয়া নিয়মে ১০৮ টাকা কেজি চিনি ও তেল ১ লিটার তেল ১৯০ টাকা ও ২ লিটার ৩৭০ টাকা বিক্রি করছে । তবে ৫ লিটার কম দামে ৯০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। মসুর ডাল আগের মতো ৯৫-১৪০ টাকা কেজি, আটা ২ কেজি ১৪৪ টাকা থেকে ১৫০ টাকা ও ২ কেজি ময়দা ১৬০ টাকা বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সবজি দামে স্বস্তি
শীতের প্রায় সবজি বাজারে আসায় কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। মরিচের কেজি ৩০ টাকা। বেগুনের দামও কমে ৩০ টাকা, প্রতিটি ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তবে শিমের কেজি ৩০ থেকে লম্বাটা ৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ৩০, মূলা ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা। তবে এখনো টমেটোর দাম কমেনি। আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে শসার দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আদার দাম কমে ১৬০ টাকা
সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কমেছে ২০ থেকে ৪০ টাকা আগের সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও শনিবার দেশি আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও চায়নাটা সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম আগের মতোই ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, দেশি রসুন ৭০ ও চায়না রসুন ১২০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
আগের মতো মাছের দাম
খাল বিলের মাছের সরবরাহ থাকায় মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, রুই ও কাতলার কেজি ২২০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-১২০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়াল, আইড়ের দাম কমে ৫০০-৮০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০, কাজলি, বাতাসি ৬০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, পাঙ্গাস, তেলাপিয়ার দাম কমে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ইলিশের দামও কমতির দিকে। ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী মারুফ বলেন, এক কেজির কম হলে ১০০০ টাকা, বেশিটা ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ছোটগুলোর দাম একটু কম।
আগের মতোই মুরগির দাম
মাছের দাম কমার কারণে মুরগির দামও কমেছে বলে কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ীরা জানান। তারা বলেন, আগের মতো প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫০ টাকা, লাল লেয়ার ২৮০ টাকা, পাকিস্তানির দাম কমে ২৪০ থেকে ২৬০ ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোল্ট্রির দামও কমে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এদিকে ডিমের দামও কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। হাঁসের ডিমের দামও কমে ডজন ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ডিম ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সবজির দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দামও কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে দামে বিক্রি করছি। গরু ও খাসির মাংসের দাম কমতির দিকে। গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
জেডএ/এমএমএ/