আমরা এখন ভারত, চীন, মালয়েশিয়ার মতো: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘গত ১৪ বছরে প্রায় ২ কোটি ২৭ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫ লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। রেমিট্যান্স আয় ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলারে। রপ্তানি আয় ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার।’
তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিখরে উঠার গল্প, যা রূপকথার গল্পগাঁথাকেও হার মানায়। আমরা এখন ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশের কাতারে।’
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) কুমিল্লার লালমাইয়ের বাগমারা হাইস্কুল মাঠে কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি দেশের অর্থনীতির পরিমাপ করা হয় জিডিপি দিয়ে। যে দেশের জিডিপি যত বেশি, অর্থনীতির এলাকায় সে দেশ তত বেশি শক্তিশালী। ২০০৮ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে মাত্র ১৪ বছরে সাড়ে ৪ গুণ বেড়ে আজ জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ থেকে ২০১৯, দশ বছরে বাংলাদেশ ১৮৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারা বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে। অর্থনীতির এলাকায় অগ্রগতির আরেকটি পরিমাপক হলো মাথাপিছু জাতীয় আয়। আমাদের মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে ৪ গুণ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আজীবনের স্বপ্ন ছিল ভৌগোলিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির কাজটি তার জীবদ্দশায় সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। তার সেই অসমাপ্ত কাজ আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শেষ করার দায়িত্ব দিয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তি ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালে আমরা ছিলাম ৬০তম অর্থনীতির দেশ, আজ আমরা বিশ্বের ৪১তম অর্থনীতির দেশ। আমরা এখন দাঁড়িয়েছি ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশের কাতারে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিখরে উঠার গল্প, যা রূপকথার গল্পগাঁথাকেও হার মানায়। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
সভায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলেনের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মাহবুবুল আলম হানিফ, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. মুজিবুল হক এমপি প্রমুখ।
জেডএ/এসজি