বিড়ি মালিক-শ্রমিকদের কাস্টমস অফিস ঘেরাও
রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল বিড়ি বিক্রি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল জেলা বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বরিশাল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে বরিশাল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের উপ কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়ার কাছে ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি বন্ধ করা, যাচাই-বাছাই ব্যাতিরেকে (অনলাইন) লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা, বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা, বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী ও দোকানিদের লাইসেন্সের আওতায় না এনে শুধুমাত্র পরিবেশক বা ডিলারদের লাইসেন্সের আওতায় আনা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমাজের অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কমদামে বিড়ি বিক্রি করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়িতে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। বিড়ির উপর থেকে এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে।
মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে 'বিড়ি শিল্পের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, এদেশ থেকে ব্রিটিশ বনিয়া হটাও বিড়ি শিল্প বাঁচাও, অসাধু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তার বিচার চাই বিচার চাই' স্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন ফেস্টুন দেখা যায়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জেডএ/এসজি