রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দাম বাড়ানোর পরপরই বাজারে তেল-চিনি

সয়াবিন তেল লিটারে ১২ টাকা ও চিনির দাম কেজিতে ১২ টাকা বাড়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে চলে এসেছে সয়াবিন তেল ও চিনি। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমানোর ঘোষণার ১০ থেকে ১৫ দিনেও পাওয়া যায় না। কিন্তু মিলমালিকরা যেদিন দাম বাড়িয়ে দিল সেদিনই বাজারে চলে এসেছে। আগেই তারা দাম বাড়িয়ে রেখেছিল।

সুখবর নেই চালের বাজারেও। আমন ধান উঠলেও কমেনি দাম। তবে স্বস্তির খবর মিলছে মাছ, মুরগি ও ডিমে। শীতের সবজি বাজারে আসায় প্রায় সবজি ৫০ টাকার কমে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

শনিবার (১৯ নভেম্ববর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

সবজির কেজি ৫০ টাকার নিচে

শীত ঘনিয়ে আসায় বাজারে প্রায় সব সবজির দাম কমতির দিকে। মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। মরিচ বিক্রেতা শফিক বলেন, শীতের কারণে সরবরাহ বেশি হওয়ায় মরিচের দাম কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুনের দামও কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ও মুলার কেজি ৩০ টাকা। তবে এখনো ভরা মৌসুম না হওয়ায় টমেটোর দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। শসা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চিনির কেজি ১০৭ টাকা

প্রায় এক মাস আগে থেকে বাজারে চিনি পাওয়া না গেলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকার চিনির দাম ৯৫ থেকে ১০৭ টাকা কেজি ঘোষণা করেছে গত ১৭ নভেম্বর। ঘোষণার পরপরই বাজার ভরে গেছে চিনিতে। মিলমালিকদের কারসাজির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের লক্ষ্মীপুর জেনারেল স্টোরের হাজী ইউসুস, ইউসুফ স্টোরের ইউসুফ, ফরিদগঞ্জ স্টোরের জাহাঙ্গীরসহ অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশে দেখার কেউ নেই। চিনি ৯৫ টাকা কেজি করার পরও এক মাস থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ বৃহস্পতিবার তেলের লিটারে ও চিনির কেজিতে ১২ টাকা বাড়তি দাম ঘোষণা করা মাত্রই চলে এসেছে। মিলমালিকরা ইচ্ছা করে এভাবে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। গালি খেতে হয় খুচরা ব্যবসায়ীদের।

ইয়াসিন স্টোরের আলী হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে ১০৫ টাকায় কিনে সর্বশেষ ১১০ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করেছি। ১৭ নভেম্বর থেকে নতুন দাম ঘোষণার পর তা পাওয়া যাচ্ছে।

চিনির পথেই তেলের বাজার বলে জানা খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ১৭৮ টাকা থেকে সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা করা মাত্রই তা বাজারে চলে এসেছে। তাই ৫ লিটার তেলের দাম ৮৫০-৮৭০ টাকা হয়েছে ৯২০ টাকা। তবে ২ ও এক লিটারের দাম এখনো আসেনি। তবে কোনো কোনো দোকানে আগের ২ লিটার ৩৫০ টাকা এবং ১ লিটার ১৭৮ টাকার তেল বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। মসুর ডাল ৯৫-১৪০ টাকা কেজি, আটার দামও বেড়ে ২ কেজি ১৪৪ টাকা থেকে ১৫০ টাকা ও ২ কেজির ময়দা ১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

ধান উঠলেও কমেনি চালের দাম

মাঠ থেকে আমন ধান উঠা শুরু হলেও চালের দাম একটুও কমেনি। বরং সব চাল আগের মতো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মান্নান রাইসিএজেন্সির তোফায়েল, কুমিল্লা রাইস জেনারেল স্টোরের শহিদুল ইসলাম, বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিব এবং আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির আব্দুল আওয়াল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমন ধান উঠলেও এখনো আগের দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। একটুও কমেনি দাম। মিনিকেট চাল এখনো ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, ২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা হাইব্রিড চাল ৪৮, বাসমতি ৮৮, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পোলাও চালের দামও বাড়তি। প্যাকেট ছাড়া এই চাল ১২৫ টাকা ও বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট চাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

লাগামহীন আদা

অন্যান্য বছরের মতো এবার পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। মসলার মধ্যে পেঁয়াজ, মরিচ ও রসুনের দাম না বাড়লেও আদার ঝাঁজ কমছে না। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। মসলা ব্যবসায়ী জনি বলেন, আগের সপ্তাহে আদা ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও তা এখন ২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। দাম এত বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নের কোনো জবাব নেই তার কাছে। তবে উত্তর বেশি দামে কিনতে হয়েছে। এজন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে দেশীয় আদা একটু কম দামে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে আগের মতো পেঁয়াজ ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি রসুন ৭০ ও চায়না আদা ১৩০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য মসলাও আগের দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

কমেছে মাছের দাম

শীত ঘনিয়ে আসায় নদী, বিলের মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য মাছের দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ইলিশের দামও কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল রহিমসহ অন্যান্যরা বলেন, রুই ও কাতলার কেজি ২২০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৮০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়ালের দাম কমে ৬০০-৮০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০, কাজলি ও বাতাসি ৬০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাঙ্গাসের দামও কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছের দাম কমলেও গরু ও খাসির মাংসের দাম কমেনি। গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পোল্ট্রি ও পাকিস্তানি মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতি কেজি ব্রয়লার আগের সপ্তাহে ১৮০ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

ডিমের দাম কমে ডজন ১২০

শীত ঘনিয়ে আসায় কমেছে ডিমের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ১০ টাকা কমে লাল ও সাদা ডিমের ডজন ১২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। হাঁসের ডিমের দামও কমে ডজন ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

জেডএ/এসজি

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ