বিশ্বব্যাংকের ‘গভটেক লিডারস’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদান এবং এসব সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার ইকোসিস্টেম তৈরিতে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে করে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ‘গভটেক লিডারস’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) অনলাইনে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত গভটেক ম্যাচ্যুরিটি ইনডেক্স (জিটিএমআই) ২০২২ তে এই অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের জিটিএমআই২০২২ তথ্য অনুসারে, মোট ০.৮৪ স্কোর (১.০০ এর মধ্যে) নিয়ে জিটিএমআই এর ‘ক্যাটেগরি এ: বেরি হাই গভর্নমেন্ট ম্যাচুরিটি’ তে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে থাকা প্রতিটি দেশকে ‘গভটেক লিডারস’ হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্বব্যাংক। নতুন স্কোরের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২৯তম অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিটিএমআই২০২০ এ বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৭২ (১.০০ এর মধ্যে) এবং অবস্থান ছিলো ক্যাটেগরি বি: হাই গভটেক ম্যাচুরিটি গ্রুপে।
জিটিএমআই-২০২২ এ সরকারি খাতের বিভিন্ন সেবা প্রদানের ডিজিটাল রূপান্তরের চারটি প্রধান দিককে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এগুলো হলো-কোর গভর্নমেন্ট সিস্টেমস, পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি, সিটিজেন এনগেজমেন্ট এবং গভটেক এনাবলার্স।
বিশ্বব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ এই প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতির ১৯৮টি দেশের গভটেক ম্যাচ্যুরিটির একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। জিটিএমআই২০২২ এ গভটেক এর নতুন নতুন প্রবণতা, অনুশীলন ও সেগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব প্রদান করেছে।
জিটিএমআই তথ্যানুসারে, সরকারিভাবে গভটেক বাস্তবায়নে বিশ্বের গড় স্কোর হলো ০.৫৫২ (১.০০ এর মধ্যে)। আর কোর গভর্নমেন্ট সিস্টেমস ইনডেক্স (সিজিএসআই) এর স্কোর ০.৫৭৫, পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি ইনডেক্স (পিএসডিআই) এর স্কোর ০.৬৪৯, ডিজিটাল সিটিজেন এনগেজমেন্ট ইনডেক্স (ডিসিইআই) এর স্কোর ০.৪৪৯, এবং গভটেক এনাবলার্স ইনডেক্স (জিটিইআই) এর স্কোর হলো ০.৫৩৬।
অন্যদিকে, জিটিএমআই-এর চারটি ইনডেক্সের মধ্যে তিনটিতে ‘ক্যাটেগরি এ: ভেরি হাই জিটিএমআই’ এবং একটিতে ‘ক্যাটেগরি বি: হাই জিটিএমআই’ অর্জন করেছে। জিটিএমআই২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সিজিএসআই স্কোর হলো ০.৯১৫ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৭০); পিএসডিআই স্কোর হলো ০.৭০৭ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৬৫); ডিসিইআই স্কোর হলো ০.৮৩৭ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৭৭); এবং জিটিইআই স্কোর হলো ০.৯২০ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৭৪)।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের জিটিএমআই-২০২২ রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান সঠিকভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত- ‘এটুআই’।
জিটিএমআই২০২২ রিপোর্টিংয়ের অংশ হিসেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও সংস্থার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও সার্বিক সমন্বয়ের জন্য একাধিক পরামর্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করে সংস্থাটি। পরবর্তীতে এটুআই সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য সমন্বিত করে বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রেরণ করে।
আরইউ/এমএমএ/