এসএমই খাতে ঋণের শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
উৎপাদন খাতের পাশাপাশি বর্তমানে ব্যবসা খাতেও চাহিদা বাড়ছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণের শর্ত শিথিল করেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন ও সেবা খাতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মো. জাকের হোসেনের সই করা নতুন এ সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা নতুন করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
অপরদিকে, দেশের অর্থনীতির গতি চলমান রাখার লক্ষ্যে সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে উদ্যোক্তাদের মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের সে চাহিদা পূরণে অর্থায়ন করার প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে উৎপাদন খাতের পাশাপাশি ব্যবসা খাতেও ঋণের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এ পেক্ষাপটে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেওয়া মেয়াদি ঋণসমূহ এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন ও সেবাখাতে দেওয়া মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন হিসেবে বিতরণ করা ঋণসমূহও এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
তবে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের মোট বিতরণ করা ঋণের ৪০ শতাংশের বেশি চলতি মূলধন খাতে পুনঃঅর্থায়নের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। চলতি মূলধন হিসেবে দেওয়া ঋণে কোনোভাবেই পণ্য মজুতের উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এ স্কিমের আওতায় তাদের বিতরণকৃত মোট ঋণের ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ব্যবসা খাতে দিতে পারবে।
সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার অপরে এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণসীমা নিয়ে শর্ত শিথিল করে নির্দেশনাও দিয়েছে। নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনে ব্যক্তি বা গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
জেডএ/এমএমএ/