সংকট নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর ভিন্ন মত!
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের অর্থনীতি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আশা করি আগামীতে ঠিক হয়ে যাবে। তবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন ‘দেশে তেমন সংকট নেই। আমদানি ও রপ্তানি বাড়ছে। রেমিট্যান্সও আসছে দেশে।’
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ডলারের সরবরাহ বাড়াতে টাকার মান কমাতে হবে। আমরা চাচ্ছি দেশে আরও ডলার সরবরাহ হোক। এক্সপোর্ট ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির জন্য টাকার মান কমা ভালো ।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও কিছু প্রভাব পড়েছে। তা সামাল দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে যাচ্ছে। তবে আশা করি প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন তাড়াতাড়ি আমরা সংকট কেটে উঠতে পারব।’
টাকার মান কমানো ভালো দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকার মান ও এক্সচেঞ্জ রেট সমন্বয় করতে হবে। ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হলে টাকার মান কমাতে হবে। রেমিটেন্স কমেনি দাবি করে শামসুল আলম বলেন, জুলাই-অক্টোবরে সর্বশেষ ৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
জুলাই থেকে অক্টোবরে বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছি। রেমিট্যান্স কমছে কথাটা সত্য না। এক্সপোর্ট ১৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন হয়েছে। গত মাসের থেকে এটা বেড়েছে। তাই আমরা কোনো সংকটে নেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সারা দুনিয়া ফেস করছে আমরাও করছি, যোগ করেন তিনি।
আইএমএফ-এর তথ্যে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ একমত না হলে কিছু আসে যায় না। প্রথাগতভাবে সরকার রিজার্ভ রক্ষা করছে। সরকার কোথাও কিছু লুকায়নি। বর্তমানে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ আছে।
জেডএ/এমএমএ/