আইএমএফের ঋণে মিলবে কিছুটা স্বস্তি: পরিকল্পনামন্ত্রী
আইএমএফের ঋণে সাময়িক কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার অস্বস্তিতে নেই। কারণ, পকেটে ১০০ টাকা থাকার পর কেউ ১০ টাকা ধার দিলে কিছুটা তো ভালো হবে।’
বুধবার (২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজধানীর শেরে-ই বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মাসের শুরুতে পকেটে যেমন টাকা থাকবে, মাস শেষেও তেমন থাকবে এমনটা নয়। মাসের শেষ দিকে পকেটে অভাব থাকতেই পারে। সবাই বাজারে যায়, আজকে এক দাম, কালকে হঠাৎ আরেক হয়ে গেল, এমনটাও নয় কিন্তু।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘দেশে মূল্যস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে মানুষের বেতন-ভাতা সেভাবে বাড়েনি। তবে মূল্যস্ফীতি বাড়ার মূল কারণ আমাদের বাজারের ব্যর্থতা নয়। আমাদের বাজার এখন বিশ্ববাজারের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। অন্যান্য বাজারের চাপও আমাদের এখানে এসেছে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে বলেনি। তারা শুধু চা শ্রমিক ও উপকূলীয় জেলেদের মজুরি বাড়ানোর কথা বলেছে। আমরা তো সম্প্রতি চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি। সামনের দিনে তা আরও বাড়ানো হবে। আমিও মনে করি চা শ্রমিক ও উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মজুরি বাড়ানোর দিকটা দেখা উচিত।’
বৈঠকে আইএলওর ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) বিশেষজ্ঞ গুনজান দালাকোটি, প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ইগোর বোস, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক অ্যানি ডং ও প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ/এমএমএ/