'২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার-ইনভয়েসিং হয়েছে'
করোনাকালে নানা জাল-জালিয়াতি হয়েছে। এ জন্য সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (সিটিআর) সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেছেন, গত অর্থ বছরে ট্রেডের মাধ্যমে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ ওভার ইনভয়ের্সিং হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার হয়েছে তবে এর সঠিক তথ্য নেই। এ জন্য এলসির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যাতে অর্থপাচার কম হয়।’
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২১-২২ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘অর্থ বিদেশে চলে গেলে তা ফিরিয়ে আনা দূরুহ কাজ। এ পর্যন্ত যত অর্থ পাচার হয়েছে তার এক শতাংশ ফিরে এসেছে। শুধু আমাদের দেশের নয়, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের একই অবস্থা। পাচার করা অর্থ ফিরে আসা কঠিন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘মানিলন্ডারিং হয় না এটা বলা যাবে না। উন্নয়নশীল দেশে বেশি মানিলন্ডারিং হয়। অবৈধ অর্থ ছাড়াও বৈধ অর্থও বিদেশে চলে যাচ্ছে। কাজের সব সন্দেহজনক লেনদেন যে পাচার করার উদ্দেশে যায় তা বলা যাবে না।’
উন্নয়নশীল ১৩৫টি দেশের মধ্যে পাচার করা অর্থের মানদণ্ডে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, বর্তমানে ৩৩তম, যোগ করেন তিনি।
অর্থপাচার হওয়ার আগে পথ বন্ধ করার উপায় আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেন, ড্যাশবোর্ডে আমদানির সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ওভার ইনভয়েসিং কঠোরভাবে মনিটরিং করছে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমদানির পরিমাণও আগের চেয়ে কমে গেছে। তবে আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধের কাজ শুরু হয়েছে। এটা পুরোপুরি করা গেলে সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণ আরও কমে যাবে।’
জেডএ/এমএমএ/