সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ শতাংশ
এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ২৮০টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে হয়েছে ৮ হাজার ৫৭১টি। তবে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে সে তথ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, দেশ থেকে কত টাকা পাচার হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেশে নেই। তবে তা জানার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এখনো পুরো তথ্য পাচ্ছি না।
সংখ্যা বাড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কাজ হচ্ছে বলেই মানুষ তথ্য জানতে পারছে। করোনাকালে বিভিন্ন কারণে এর পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে করোনাকালে স্বাস্থ্য বিষয়ে কেনাকাটার বিষয়ে দুর্নীতি বেড়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নীতিমালার ভিত্তিতে এ রিপোর্ট করা হয়। আগামীতে সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণ আরও বাড়বে। তার মানে এই নয় যে, মানি লন্ডারিং বেড়েছে।
প্রতিবেদনা বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (এস টি আর) হয়েছে ৮ হাজার ৫৭১টি। আগের বছরে এর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি।
মাসুদ বিশ্বাস আরও বলেন, সংখ্যার মতো ক্যাশ ট্রানজেকশন রিপোর্টও (সিটিআর) বেড়েছে গত অর্থবছরে। বিদায়ী অর্থবছরে ২১ লাখ ১১ হাজার ৩০০ কোটি (২১ হাজার ১১৩ বিলিয়ন) টাকা। আগের অর্থবছরে ছিল ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০০ কোটি (১৪ হাজার ৩৩৮ বিলিয়ন) টাকা। তার আগের অর্থবছরে ছিল ১১ হাজার ৭১৯ বিলিয়ন টাকা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএফআইইউ প্রধান বলেন, ট্রেডবেইজ মানি লন্ডারিং হয়। তবে এটা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। কিন্তু কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে সেই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নেই।
জেডএ/এসএন