পোশাক রপ্তানি ২০ শতাংশ কমার শঙ্কা
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক শিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু শিল্প কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট ও ইউরোপে চাহিদা কমায় আগামী দুই মাসে পোশাক খাতে রপ্তানি ২০ শতাংশ কমবে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমই এর প্রধান কার্যালয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক এবং ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কার কথা বলেন তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি কমছে। গত দুই মাসে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ক্রয়াদেশ ধাপে ধাপে কমছে। যেখানে গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক শিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। যে কারণে ওই সময়ে এ শিল্প খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমদের পোশাক শিল্পেও পড়েছে। এতে করে শিল্পে ব্যয় বাড়ছে দুইভাবে। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। বেশি সময় জেনারেটর চালানোর কারণে সেগুলো ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। এতে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। তাই শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা দরকার। অন্যথায় রপ্তানি আয় ক্রমাগত কমতে থাকবে। এর ফলে নভেম্বর মাসেও রপ্তানি আয় হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা থেকে যাবে। তাই সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বেশি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেডএ/এসজি