শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বৃহস্পতিবারের বাজারদর

বাড়তি চালের দাম সবজিতে স্বস্তি

আমন ধানের মৌসুম শেষ না হলেও বেড়েই যাচ্ছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। তবে আগের মতোই ডিমের ডজন ১০৫ টাকা, গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। ভোজ্যতেল, আটা, ডাল, চিনিও আগের দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু শীতের সবজির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এরফলে কেজি প্রতি ৫০ টাকার মধ্যে টমটো, শিমসহ যে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে।

দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।

চালের কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা:
গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে এক থেকে দুই টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মো. আবুল কাসেম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব চালে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। মিনিকেট ৬০ থেকে ৬১ টাকা, বিআর-২৮ কেজি ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা, পারিজা ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতি বছরে মাঘ মাসে চালের দাম কমে। কিন্তু এবারে সেই মাস থেকেই বাড়তি দাম। কমছে না। কি করলে কমবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমদানি না করলে চালের দাম কমবে না। তাই ভোক্তাদের স্বার্থে চালের দাম কমাতে হলে আমদানি করতে হবে।

চাটখিল রাইস এজেন্সির বেলাল হোসেনও চালের দাম বেড়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, বাজারে চালের বাজার চড়া। মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৪৯, নাজির চাল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। এই বাজারে মোটা চাল বিক্রি তেমন না। তাই রাখাও হয়না। একই বাজারের এমআর টেড্রার্সের আনিছ খানও বলেন, সব চালের দাম চড়া।

কৃষিমার্কেটের সাপলা রাইস এজেন্সির মাঈনুদ্দিনও বলেন, সব চালের দাম বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। আমদানি করলে কমবে চালের দাম। পাইকারি বাজারের এই চাল প্রতি কেজিতে খুচরা বাজারে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান।

গরু খাসির মাংস স্থিতিশীল:
গত সপ্তাহে গরু ও খাসির মাংসের দাম চড়া থাকলেও এ সপ্তাহে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের জনপ্রিয় খাসির মাংসের দোকানের নুরুল ইসলাম ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আগের সপ্তাহে কিছুটা বাড়লেও এ সপ্তাহে আগের দামেই ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একই বাজারের মেসার্স খোকন এন্টারপ্রাইজের খোকন বলেন, ৫৮০ টাকা গরুর মাংস কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। বেশি নিলে ৫৫০ টাকা কেজি রাখা যাবে বলেও জানান তিনি। সোহাগ মাংস বিতানের সোহাগ জানান, গরুর মাংস ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

স্থিতিশীল ডিম-মুরগি ও মাছের দাম:
গত সপ্তাহের দামেই এ সপ্তাহে ডিম বিক্রি হচ্ছে বলে ঢাকাপ্রকাশকে জানান জননী মুরগীর আড়তের আব্দুল ওহাব। তিনি বলেন, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৭০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চার্টে বেশি দাম ৩০০ টাকা লিখা আছে। জনপ্রিয় পোলট্রির ইলিয়াছ বলেন, আগের সপ্তাহে প্রতি কেজি মুরগির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি বাড়ে। তবে এ সপ্তাহে বাড়েনি। আগের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক ৩০০ টাকা, সাদা কক ২৭০, লাল লেয়ার ২৪০ ও দেশি মোরগ-মুরগি ৫২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারের দামের সাথে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে খুচরা বাজারে ডিম ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।

এদিকে মুরগির মতো মাছের বাজারও স্থিতিশীল বলে জানান বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রতন বলেন রুই, কাতল, চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ আগের দামই বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আকার ভেদে রুই ও কাতল ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি আকার ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আর দেশি শিং ৭০০ টাকা কেজি, দেশি কই ৫০০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া দেশি শৈল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল ডাল তেল চিনি আটার দাম:
অন্যান্য জিনিসের মতো নিত্যপণ্যের মধ্যে ভোজ্যতেল আগের মতোই রুপচাদা পাঁচ লিটার ৭৩০ টাকা ও বসুন্ধরা ৭০০ টাকা, চিনি ৮৫ টাকা কেজি, দুই কেজি আটা ৯০ টাকা, ডাল ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের জেনারেল স্টোরের আব্দুল কাদের। একই কথা জানান, কমলা ট্রেডিং এর সুমন। তিনি বলেন, গায়ের মূল্যের চেয়ে পাইকারি পর্যায়ে পাঁচ লিটারে ৪০ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। মুগ ডাল ১১০ টাকা, মসুর ১১০, ছোলা ৭০ টাকা, দুই কেজির আটা ৮২ টাকা ও চিনি ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারাও বলছেন, এ সপ্তাহে জিনিসের দাম তেমন বাড়েনি।

সবজির কেজি ৫০ টাকার নিচে:
শীত মৌসুমে বিভিন্ন সবজির চাষ বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। তারা বলছেন, আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা কমে টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, শিমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। বেগুণ ৪০ থেকে ৫০, প্রতি পিস ফুল কপি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, গাজর ৪০ টাকা কেজি, শসা ৩০ টাকা, বিভিন্ন শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় সবজির কেজি ৫০ টাকার নিচে নেমেছে বলে রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের শফিক জানান।

জেডএ/এএস

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম