খরচ কমাতে নজরদারি জোরদার করতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ২০২৩ সালে আসন্ন অর্থনীতি দুর্বিসহ হতে পারে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খরচ কমাতে নজরদারি আরও জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তা কৌশলগত ও নীতিগতভাবে করতে হবে।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির মন্দ দিক হলো এটা একা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কারণ, তেল, জাহাজ সবকিছু বাইরে থেকে আসে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে এবং ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আমরাও বিশ্ব বাজারের বাইরে নই। কারণ, তেল থেকে শুরু করে আমদানিকৃত পণ্য সবই জাহাজে আনতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অপচয় রোধ করতে হবে সরকারের ভেতরে এবং বাইরে। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিছু কৌশল অবলম্বন করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বলেছেন। কোনো জমি খালি রাখা যাবে না। কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকি ও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনার উপর সজাগ থাকতে হবে। কারণ, উৎপাদন কমে গেলে রক্ষা পাব না। তাই কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। মজুত বাড়াতে চাল আমদানি সুযোগ দেওয়া হলেও আমদানিকারকরা আনেনি।
তবে আমাদের মজুত ভালো আছে। ভয়ের কোনো কারণ নাই। আবার এবার উৎপাদন ভালো হচ্ছে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
এমএমএ/