উন্নয়নকেও অনেকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের হাওর থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলেও উন্নয়নের হাওয়া লেগেছে। এভাবে ভালো কাজ করলেও দেশের কারও কারও কাছে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ প্রাথমিক ফলাফলের শুনানি পরবর্তী যাচাই কার্যক্রম অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানী আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো স্বাধীনভাবে শুমারির কাজ শুরু করা। আমিও চাই যেন স্বাধীনভাবে এই কাজটি করা হয়। কোনো মহল থেকে যেন কোনো চাপ না আসে। আমি নিজেই শঙ্কিত ছিলাম এত টাকা খরচ হবে। প্রথমে মাথা ঘুরে গিয়েছিল। কারণ, এগুলো জনগণের টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এই শুমারির কাজে নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও যাতে টাকা সঠিকভাবে ব্যয় হয় তা দেখতে হবে। যে যাই বলুক আমার সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফেরও কথা হয়েছে। তারাও বিবিএস এর কাজে প্রশংসা করছে। কারণ, আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গুণাবলি প্রকাশ করছি। বিবিসির মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে হবে। এ জন্য কৌশলগতভাবে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, জনগণের অধিকার আছে সবকিছু জানার। তারাও শুমারি সম্পর্ক জানতে চায়। তাই জানার জন্য বাংলায় করা হয়েছে শুমারি। প্রথমে আমারও প্রশ্ন ছিল এত সময় লাগবে। যাইহোক পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সময় মতো করা হয়েছে শুমারির কাজটি।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর শামসুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে জনশুমারির কাজটি করতে দেরি হয়েছে। তারপরও প্রযুক্তির উৎকর্ষের সমাবেশ ঘটিয়ে নির্ভরযোগ্য করা হয়েছে।
বিবিএস দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তারপরও বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারটি কাটিয়ে উঠতে হবে। যথাসময়ে দ্রুততার সঙ্গে এই শুমারি ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ, হালনাগাদ তথ্য পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য স্বাধীনভাবে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ করা হয়েছে। সব নিয়মকানুন মেনে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, কোনো ব্যত্যয়ই ঘটেনি। এই শুমারি যাচাই করতে বিআইডিএস ৩৫৪টি নমুনা এলাকা যাচাই করবে। তারাও স্বাধীনভাবে এ কাজ করবে।
বিবিএস মহাপরিচালক মো, মতিয়ার রহমান বলেন, ‘জনশুমারি ২০২২ মোতাবেক দেশের জনসংখ্যা হয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার। ২০১১ সালের শুমারিতে জনসংখ্যা হয়েছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ। পরে শুমারি পরবর্তী যাচাই করতে গিয়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে জনসংখ্যা হয়েছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ।
জেডএ/এমএমএ/