সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয় কোনো রকমে লক্ষ্য অর্জন করেছে। প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে গেছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১২৪২ কোটি ডলার। এই তিন মাসে মোট ১২৪২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। কারণ, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১১০২ কোটি ১৯ লাখ ডলারের পণ্য।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, মূলত প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের আয় কমে যাওয়ার কারণেই একক মাসে মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে গেছে। একইসঙ্গে সেপ্টেম্বরের মোট আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৭ দশমিক ০২ শতাংশ কম। গত সেপ্টেম্বরে ৪২০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার।
সেপ্টেম্বরে ৪২০ কোটি ডলার লক্ষ্যের বিপরীতে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্যের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ৭ শতাংশে বেশি। আবার প্রবৃদ্ধিও কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। কারণ, ২০২১-২২ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।
কোভিড ১৯ মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর সর্বশেষ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের রপ্তানিতে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এরপর থেকেই প্রবৃদ্ধিতে একের পর এক রেকর্ড হয়েছে। টানা কয়েক মাস একক মাসে রপ্তানি আয় ৪০০ কোটির বেশি ছিল।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কায় কোভিড পরবর্তীকালে বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজার বিভিন্ন সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কনটেইনারের অপ্রতুলতা এবং সাপ্লাই চেইন সংকট, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে পূর্বাভাষ অনুযায়ী মন্দার আবির্ভাব যার কারণে খুচরা বিক্রিতে ধস নেমেছে। এ কারণে ক্রেতাদের পোশাকের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান দুই বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এ কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তার প্রভাবে রপ্তানি আয় কমছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৈরি পোশাকখাতে ১৩ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেশি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। যেখানে অন্যান্য মাসে বেশি অর্জন হয়েছে।
জেডএ/এমএমএ/