আগের দর না মেনে চিনির দাম বৃদ্ধি করতে চিঠি
সরকার প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ৮৪ টাকা ও প্যাকেটজাত খোলা চিনির দাম ৮৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যা গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু কোনো বাজারে, পাড়া-মহল্লার দোকানে সেই দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
সরকার নির্ধারিত দর না মেনে চিনি কোম্পানিগুলোর সমিতি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নতুন করে দাম নির্ধারণের জন্য।
আবেদনে বলা হয়েছে, সরকার যে দর নির্ধারণ করেছে, সেই দামে চিনি বিক্রি করলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এ চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকেও (বিটিটিসি)। কারণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এ সংস্থা দর পর্যালোচনা করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা গত ১১ আগস্ট চিনির দাম নির্ধারণের জন্য আবেদন করে।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৪ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে রমজান মাসে দুঈ লাখ টনের মতো চাহিদা হয়। তখনই হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায় বাজারে। দেশে ৬০ হাজার টনের মতো দেশীয় আখ থেকে উৎপাদিত হয়। বাকিটা আমদানি করতে হয়। দেশীয় কোম্পানিগুলো অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে পরিশোধন করে বাজারে বিক্রি করে।
জেডএ/এমএমএ/