শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে শুরু করে মোবাইল ব্যাংকিং, কৃষিঋণ, আমানত জমাসহ প্রায় সব খাতেই বিভিন্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি অভিযোগ পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। করোনাকালে এই অভিযোগ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে অভিযোগ বেড়েছে ২৭ শতাংশ। দুই বছরের ব্যবধানে এই অভিযোগ সব রেকর্ড ছাড়িয়ে হয়েছে ৮৭ শতাংশ।

গ্রাহকরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৩৩টি অভিযোগ করলেও বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে ৬ হাজার ৭৯৮টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।

অথচ ব্যাংকিং সেবা ভালোভাবে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে গাইডলাইন ও সার্কুলার ইস্যু করছে। তারপরও গ্রাহকরা ব্যাংকগুলো থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকদের হয়রানির শিকার থেকে রক্ষা করা, আর্থিক খাতের সামগ্রিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বপ্রথম ২০১১ সালে একটি ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়। পরে গ্রাহকের কথা আরও বেশি করে আমলে নিয়ে ‘গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র” থেকে সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট (এফআইসিএসডি) ‘ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ গঠন করা হয়। সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সময় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি প্রতি বছর গ্রাহক অভিযোগের তথ্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবার মানকে নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কিন্তু বিভিন্ন ব্যাংকের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু পুরোপুরি প্রতিকার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে গ্রাহকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের অভিযোগ জানাতে থাকেন।

জানা গেছে, অভিযোগের মাধ্যমেই ফেরদৌসি জামান নামে এক গ্রাহক তার একটি সঞ্চয়ী হিসাবের প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার মধ্যে ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ফেরত পান। কারণ তিনি ২০১৬ সালে বেসরকারি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন। কিন্তু ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেন্টার ম্যানেজার সরওয়ার তা বিভিন্নভাবে তুলে নেন। ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা খোয়া যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তা ফেরত দিতে গড়িমসি করেন। বাধ্য হয়ে ফেরদৌসি জামান বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করেন। এতে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বিভিন্নভাবে তদন্ত করে জানতে পারে গ্রাহকের অজান্তেই চারটি চেক বই ব্যবহার করে ওই গ্রাহকের সব টাকা সরওয়ার উত্তোলন করেন।

জানা গেছে, এভাবে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠার পর যে কেউ প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করলেই তার প্রতিকার পাচ্ছেন। প্রতি বছর সেই অভিযোগের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৮-২০১৯ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে জানানো হয়েছে ২০১১ সাল হতে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৩৪ হাজার ৬৭৮টি অভিযোগ পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে।

একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অভিযোগ পড়ে ৩ হাজার ৬৩৩টি। এরমধ্যে নিষ্পত্তির হার ১০০ শতাংশ। ২০-২১ অর্থবছরে ৪ হাজার ৯৭৪টি অভিযোগ পড়ে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর সর্বশেষ বিদায়ী অর্থবছরের (২০২১-২২) জুন পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়ে ৬ হাজার ৭৯৮টি। নিষ্পত্তির হার ৯০ দশমিক ৭১ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে অর্থাৎ গত জুন পর্যন্ত অভিযোগ বেড়েছে ১ হাজার ৮২৪টি বা ৩৭ শতাংশ। আর (২০১৯-২০২০ থেকে ২০২১-২০২২) দুই বছরের ব্যবধানে অভিযোগ বেড়েছে ৩ হাজার ১৬৫টি বা ৮৭ শতাংশ। এভাবে শুরু থেকে গত জুন পর্যন্ত এই অভিযোগ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। টেলিফোন, সরাসরি, পত্র বা ই-মেইলের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করা হয়।

কিন্তু আগে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হলেও গত তিন অর্থবছর ধরে তা আর প্রকাশ করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তথ্য প্রদানেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে অনেক কর্মকর্তারা ভয় ও আতঙ্কে রয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলার পরও অনেক কর্মকর্তা ভয় পাচ্ছেন তথ্য দিতে। কারণ সম্প্রতি পরিচালক থেকে শুরু করে কয়েকজন নির্বাহী পরিচালককেও এক ডেপুটি গভর্নর সতর্ক ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। ফলে কোন ব্যাংকের বিরুদ্ধে কত অভিযোগ তা জানা যায়নি। অথচ আগে মুখপাত্র বলার পর কর্মকর্তারা তথ্য সরবরাহ করতেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গত তিন বছরে অভিযোগ পড়েছে ১৫ হাজার ৪০৫টি। নিষ্পত্তিও করা হচ্ছে। এই হার গড়ে ৯৭ শতাংশ। সব অভিযোগেরই প্রতিকার গ্রাহকরা যেন পান আমরা সেই চেষ্টা করছি। কেউ অভিযোগ করলেই তার প্রতিকার মিলছে।

উল্লেখ্য, ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক সেবা ও তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘গ্রাহক সেবা ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি নীতিমালা জারি করা হয়। সেই আলোকে কোনো গ্রাহক অভিযোগ করলে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়।

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম