ইউনিলিভার, সিটি গ্রুপসহ ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১১ মামলা
ইউনিলিভার, সিটি গ্রুপসহ আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১১ মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
দেশের চাল, ডাল, সাবান, ডিটারজেন্টসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করায় ইউনিলিভার, সিটি গ্রুপসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড, বেলকন গ্রুপ লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেড, তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী আড়ৎদার বহুসুখী সমবায় সমিতি, কাজী ফার্মস গ্রুপ।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে, সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বেলকন গ্রুপ লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী আড়ৎদার বহুসুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহ, কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ধারায় এ মামলা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
আরও পড়ুন:পকেট কাটছে ইউনিলিভার, ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব
এসব মামলার শুনানি বিভিন্ন দিনে ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারমান মো. মফিজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান চাল, আটা-ময়দা, ডিম, মুরগি, সাবান, সুগন্ধী সাবান, গুঁড়া সাবানের মূল্যবৃদ্ধি করেছে অস্বাভাবিকভাবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির ফলে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে তা ধরা পড়েছে। এ জন্য বিভিন্ন ধারায় আটটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কাজী ফার্মস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জাহেদুল হাসানকে শুনানির জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ডাকা হয়েছে। বাকি সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সিনিয়র বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনে যা আছে সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। এই আইনের ১৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ধারায় মামলা করা হয়েছে। শুনানিতে দোষী সাবস্ত হলে শান্তি পেতে হবে। তা হবে বার্ষিক টার্নওভারের এক থেকে ১৫ শতাংশ জরিমানা। এটা প্রশাসনিক শাস্তি। শারীরিক কোনো শাস্তির বিধান নেই প্রতিযোগিতা কমিশনে।
আরও পড়ুন: ঢাকাপ্রকাশ-কে মামলার হুমকি ইউনিলিভারের
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন সূত্র জানায়, টয়লেট্রিজ বা সাবান, সুগন্ধী সাবান ও গুঁড়া সাবানের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করার অভিযোগে ঢাকার ১৮৮/বি, বীর উত্তম মীর শাখাওয়াত সড়কের ১৮৭ শান্তা ফোরামের ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ৫২/২০২২ মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, চালের দাম বৃদ্ধির জন্য ২৪/২০২২ ও আট-ময়দার দাম বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে ৩৮/২০২২ নং মামলা করা হয়েছে সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে।
আর আহমেদ কাজী টাওয়ার হাউজ নং ৩৫, রোড নং ২ ধানমন্ডি, ঢাকা এর কাজী ফার্মস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জাহেদুল হাসানের বিরুদ্ধে ডিমের দাম বেশি রাখার অভিযোগে ৪১/২০২২ এবং মুরগির দাম বেশি রাখার জন্য ৪৫/২০২২ নং মামলা করা হয়েছে।
অপরদিকে, বাজারে চালের দাম বেশি রাখায় রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ১৩/২০২২ নং মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া, চালের দাম বেশি রাখায় নওগাঁর বেলকন গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে ১৪/২০২২ নং মামলা করা হয়েছে। একই অভিযোগে ল্যান্ডভিউ কমার্সিয়াল সেন্টার, গুলশান-২ এর বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধেও ২৫/২০২২ নং মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ডিমের দাম বেশি রাখার অভিযোগে ৪৩/২০২২ এবং মুরগির দাম বেশি রাখার অভিযোগে প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪৯/২০২২ নং মামলা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন। আর তেজগাঁওয়ের ২৭ স্টেশন রোডের ডিম ব্যবসায়ী আড়ৎদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহর বিরুদ্ধেও বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে ৪৩/২০২২ নং মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনিলিভার বাধ্য হয়ে মূল্যবৃদ্ধি করেছে: সিএফও
জেডএ/এমএমএ/