মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘প্রতিটি হাওড় আমাদের আঞ্চলিক সম্পদের এক, একটি আধার’

 ‘হাওড়গুলো প্রাকৃতিকভাবে প্রকৃতির প্রয়োজনেই সৃষ্ট। হাওড়ের সমস্যাগুলো অভিযোজন করেই এগুতে হবে। বাংলাদেশের হাওড়গুলো তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং সম্পদরাজি তো হারাতে বসেছে। আগে হাওড়ে মাছ ধরাও একটি ঐতিহ্য ছিল। এখন তা নেই। ফলে আপনারা প্রকৌশলীরা হাওড়াঞ্চল নিয়ে কাজ করবেন এই প্রত্যাশা’ বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান। তিনি প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র সদর দফতর, রমনা ঢাকার শহীদ প্রকেশলী ভবনের কাউন্সিল হলে ‘টাস্কফোর্স অন ওয়াটার সেক্টর’ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এই বক্তব্য দিয়েছেন।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ‘হাওরে বন্যা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ সেমিনারের প্রথম পর্বের শিরোনাম ছিল ‘হাওড়ে বন্যা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা’, দ্বিতীয় পর্ব-‘হাওড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা’।

সেমিনারের প্রথম অংশে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সভাপতি ছিলেন প্রকৌশলী এম. হাবিবুর রহমান, তিনি আইইবির টাস্কফোর্স অন ওয়াটার সেক্টরের সভাপতি। স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, আইইবির সাধারণ সম্পাদক।

এ সেশনে আরো আলোচনা করেছেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক ও আইইবি ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এম. নুরুজ্জামান।

সেশনের প্রধান অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো হাওড়ের উন্নয়নের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কোনো হাওর ভরাটের সমস্যা সমাধানের জন্য শুধু তলদেশ খননে সমাধান নেই, বরং সামগ্রিকভাবে সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন জরুরী। এছাড়াও হাওড়ের গরীব মানুষদের বাঁচতে প্রণোদনা যোগাতে হবে। সকল জমি কৃষিকাজেই ব্যবহার করতে হবে। কৃষকের উন্নয়ন হলে হাওড়েরও উন্নয়ন হবে। হাওড়ে মাছ চাষে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাওড় নিয়ে গবেষণা এবং উচ্চতর পাঠ চলছে। তাদের মাধ্যমেই হাওড়াঞ্চলের সমস্যাগুলোর সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।’

অন্যতম আলোচক ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট এম. আবদুল হামিদের ছেলে কিশোরগঞ্জের সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক বলেছেন, ‘আমাদের হাওড়াঞ্চলের মানুষজন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকেন। হাওড়গুলোতে ঝড়, বন্যা ,খরা নৈমিত্তিক। প্রকৌশলীরা হাওড় নিয়ে কাজ করছেন বলে ভবিষ্যত আরো ভালো হবে। আমাদের সরকারের উন্নয়নের কারণে হাওড়ে বন্যা হয়নি। ১৯৭৪, ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে কেন হয়েছিল? এখনো হাওড়ের যত্র, তত্র বাড়ি, ঘর বানানো হচ্ছে। পরিকল্পনাবিহীন বাড়িঘর নির্মাণেও বন্যা হয়, হাওড়ের ক্ষতি হয়। বন্যা ও দূর্যোগ থেকে আমাদেরকে বাঁচতে হলে তলদেশ খননেও মনোযোগ দিতে হবে। সম্পদ আহরণ ও ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে। তাহলেই হাওড়াঞ্চলকে বন্যা ও প্রকৃতিক দূর্যোগগুলো থেকে রক্ষা করা যাবে।’

আইইবির সেমিনারের দ্বিতীয় পর্ব ‘হাওড়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা’র প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ.কে.এম. এনামুল হক শামীম।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে. এম. এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হাওড়াঞ্চলের সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক। সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এমন পরিকল্পনাও বিশ্বের কোথাও নেই। শত, শত বছরের হাওড় ও নদী, খাল, বিলগুলোকে বাঁচাতে আর কোনো দেশ শতবর্ষী পরিকল্পনা করেনি, করতেও হয়নি। কারণ এই অনন্য সম্পদগুলো তো তাদের নেই। পরিকল্পনাটি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে হাওড়ের সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে। তিনিসহ আমরা স্থায়ী সমাধান নিয়ে কাজ করছি। আপনাদের মধ্যে যারা অভিজ্ঞ প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের সকলের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় হাওড়গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।’

সেশনের বিশেষ অতিথি আইইবির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী এম. আবদুস সবুর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগলিক বাস্তবতার অনিবার্য প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো হাওড়, বাওড়, বিল। প্রাকৃতিক এই শক্তিগুলোকে প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব। তাদের মেনে নিয়েই বাস্তবোপযোগী, উদ্ভাবনী ও আধুনিক প্রযুক্তিনিভর জীবন ব্যবস্থা সেখানে স্বাভাবিক ও টেকসই আকারে গড়ে তুলতে হবে। কেননা, প্রতিটি হাওড় হলো আমাদের আঞ্চলিক সম্পদের এক, একটি আধার। নানা জলজ প্রাণবৈচিত্র্যে সম্পদশালী। তাদের যথাযথ ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে নিয়ে যতে হবে।’

‘হাওড়ে বন্যা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ এবং হাওড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ সেমিনার সেশনগুলোতে মূল প্রবন্ধ পড়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, নির্বাহী পরিচালক এম. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া, সিইজিআইএস (সেন্টার ফর এনভায়মেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস)’র নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান।

সেমিনারের সেশনগুলো আলোচনা, প্রবন্ধ উপস্থাপনা, নির্ধারিত উপস্থাপন, মুক্তালোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে সাজানো ছিল বলে জানিয়েছেন আইইবির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তালুকদার রনি।

আইইবির টাস্কফোর্স অন ওয়াটার সেক্টরের সদস্যসচিব প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসান সেমিনার সেশন সঞ্চালনা করেছেন।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন টাস্কফোর্স অন ওয়াটার সেক্টর, আইইবি কো-চেয়ার প্রকৌশলী এম. আমিরুল ইসলাম। তিনি ও আসাদুজ্জামান খান সেশনগুলোর পরিচালক ছিলেন।

উভয় সেশনে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি, বিশেষজ্ঞগণ, সংস্থা প্রধান, সরকারি, বেসরকারি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশের হাওড়গুলোকে বাঁচাতে এই বিশেষ সেমিনার সেশনগেুলোতে অংশগ্রহণ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট, বুয়েটের পরিচালক এ. কে. এম সাইফুল ইসলাম, এলজিইডির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক এম মােজাম্মল হক, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. এম. মমতাজ উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আলী মোহাম্মদ ওমর ফারুক, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলমগীর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশের হাওড়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, মানবহিতৈষী ও সম্মানী ভাইস প্রেসিডেন্ট এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রতীক কুমার ঘোষ, প্রকৌশলী রনক আহসান প্রমুখ।

মুক্তালোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, হাওড় গবেষক ড. মোস্তফা আলী, আবুল কালাম আজাদ, লুৎফর রহমান, আনিছুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, সুলতান আহমেদ, সাংবাদিক আবু সুফিয়ান ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান করুণা-সিন্দ-চৌধুরী।

ওএফএস।

Header Ad
Header Ad

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে একত্রিত করে একটি বৃহত্তর ঢাকা মহানগরী কাউন্সিল এবং পুরো ঢাকা শহরকে ২০টি সিটি কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এতে সিটি করপোরেশনের বর্তমান ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসা, রাজউক, ডিএমপি, তিতাস. ডেসা, ডিপিডিসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়বে। করপোরেশনের সেবা কার্যক্রম সমন্বিত করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে খবরদারি করতে পারবেন তিনি।

ঢাকা মহানগরীতে কম-বেশি ২০টি সিটি কাউন্সিল করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। কাউন্সিলপ্রধান একজন মেয়রের মতো হলেও কাজের ধরন হবে ভিন্ন। সেন্ট্রাল সিটি করপোরেশনের হাতে থাকবে প্রশাসনিক ক্ষমতা। সেন্ট্রাল শুধু সিটির নিরাপত্তা, আইনি দিক, বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা, ট্যাক্স আদায় করবে। আর কাউন্সিলগুলোর কাজ হবে অধীনস্থ এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন কার্যক্রমসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

নতুন এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন কাঠামো ও কার‌্যাবলী পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য আমরা সিটি গভর্নমেন্টে গুরুত্ব দিয়েছি। লন্ডনে যেমন সিটি গভর্নমেন্ট রয়েছে। প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে মেয়রের ক্ষমতা বাড়বে। অন্যান্য সেবা সংস্থায় মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়ানোর চিন্তা করা হয়েছে। এতে করপোরেশনের সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় হবে এবং কাজ ত্বরান্বিত হবে।

প্রস্তাবনায় আরও রয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য দ্বি-স্তর বিশিষ্ট মহানগর সরকার (সিটি গভর্নমেন্ট) সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ। মধ্য মেয়াদে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে সিটি গভর্নমেন্ট সৃষ্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন কাঠামো : সিটি করপোরেশনের দুটি অংশ। একটি বিধানিক, অন্যটি নির্বাহী। বিধানিক অংশে থাকবেন নির্বাচিত কাউন্সিলররা, কাউন্সিল নেতা (মেয়র), ছায়া কাউন্সিল নেতা, সভাধ্যক্ষ, স্থায়ী কমিটি (৫-৭), সচিব, কাউন্সিল কর্মী। নির্বাহী অংশে থাকবেন মেয়র ও মেয়রস কাউন্সিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দপ্তর।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অন্যান্য প্রস্তাবনা : স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একত্রিত করা। এ ক্ষেত্রে ‘জন প্রকৌশল সেবা’ নামক একটি নতুন অধিদপ্তর সৃষ্টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বেশিরভাগই প্রায় বন্ধ। তাই ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সমস্ত জনবল, সেবা ও সরবরাহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হতে পারে।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে পরিবেশ কর ও পর্যটন কর আরোপের উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি/ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য স্থানীয় সরকারকে কর দিতে হবে। করের হার নির্ধারণে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কর আদায়ের কর্তৃত্ব শুধু ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ নানা ফি ও সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারলেও কর আদায়ের অধিকারী হবে না।

তিন পার্বত্য জেলার সরকারি ৩০টি দপ্তরের যাবতীয় কাজ, জনবল ও অর্থ তিন জেলা পরিষদের কাছে সম্পূর্ণ হস্তান্তর করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা ও এসব প্রতিষ্ঠানের বাজেট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে- জাতীয়ভাবে আহরিত মূসকের এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে কেন্দ্রীয় সরকার আহরিত মোট রাজস্বের এক-চতুর্থাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গত রবিবার স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের অবস্থানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি জানান, সরকার যদি বলে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে তা ডিসেম্বরে হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া যায়। এ অবস্থায় বিএনপি শুধু চায়, ডিসেম্বরের একটি তারিখ ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে না। আমরাও বলছি না আজই নির্বাচন হোক। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে এত বড় পার্থক্য কোথায়?”

এ সময় প্রশাসনে ‘বিএনপির লোক’ বসানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নজরুল ইসলাম বলেন, “যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, তিনি নিজেই সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সেই সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭০০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিলেও, এখনো তাদের কাউকে পদায়ন করা হয়নি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কোথায় বিএনপির লোক বসানো হয়েছে? যারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের যদি একজনও এখন কোনো পদে থাকতেন, তাহলে বলা যেত। আসলে এসব প্রশ্ন আমাদের না করে তাদের করা উচিত।”

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  যা দেশের বাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।  মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এবার ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে।  ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।  এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।  তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস।  চলতি বছর ২৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম।  যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৮ বার, আর কমেছে মাত্র ৬ বার।  আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।  যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।  দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি