ভোক্তাদের কষ্টটা অবশ্যই দেখা হবে: ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি
ভোক্তাদের কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে গেলে অবশ্যই দেখা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাবলিক পারসেপশন হচ্ছে সব কোম্পানি অযৌক্তিক ও অনৈতিকভাবে ভোক্তার পকেট কাটা হচ্ছে। ভোক্তারদের স্বার্থে অবশ্যই তা দেখা হবে। কারণ ১৩ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ লাভ করছেন। মনে রাখবেন ভোক্তারা বাঁচলে আপনারা বাঁচবেন।’
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজারের ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাবান, ডিটারজেন্ট পাওডার, পেস্টসহ নিত্য পণ্যের ভোক্তা-ব্যবসায়ী পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ইউনিলিভারের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) জাহিদ মাওতা, পরিচালক শামিমা আখতার, কল্লোল গ্রুপের ম্যানেজার এস এম শহিদুল হাসান, স্কোয়ার গ্রুপের মোহাম্মদ আলী ইমরান, ক্যাবের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারের ঘোষণা করা ৯টি পণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিবে। কিন্তু পাবলিক কোম্পানির পণ্যের দাম নির্ধারণ করা ভোক্তা অধিদপ্তরের এখতিয়ারে নেই। তবে নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কি না, নকল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা হলে কোনো ছাড় নেই।
ইউনিলিভারসহ সব কোম্পানির কস্ট-শিট চেক করা হবে। বিভিন্ন অজুহাতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ জন্যই তা দেখা হবে। এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য নিয়ে সব যাচাই করা হবে। যৌক্তিক হলে তা সবাইকে মেনে নিতে হবে। আর অযৌক্তিক ও অনৈতিকভাবে দাম বৃদ্ধি করলে ভোক্তার স্বার্থে অবশ্যই তা দেখা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুপারশপে ডিলার, ভেন্ডারের মাধ্যমে ইউনিলিভারসহ অন্য কোম্পানির পণ্য ঢুকছে। তাতে ভেজাল পণ্যও ঢুকে যাচ্ছে। ভোক্তারা ভালো ব্র্যান্ডের অরিজিনাল মনে করে তা কিনে প্রতারিত হচ্ছে। তাই আপনাদের নকল পণ্য এড়াতে ফ্যাক্টরির মতো খুচরা বিক্রেতা পর্যায়েও দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন. ‘বিআরবিসহ নামিদামি কোম্পানির নামে নকল ক্যাবল, সুইচ দেদারসে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। রাজশাহীসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করলে তা ধরা পড়ে।’
জেডএ/এমএমএ/