মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নিজের সক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে: ইআরডি সচিব

এলডিসি গ্রাজুয়েশন অর্জনে বাংলাদেশ সরকার, ব্যবসায়ী ও থিঙ্কট্যাঙ্কার সবাই কাজ করছে উল্লেখ করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বলেছেন, ‘২০২৪ সালে আরেকটা রিভিউঃ হবে। এরপর ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পারব। এতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিজের সক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। গ্রাজুয়েশন অর্জনের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৯ সাল পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত রাখবে।'

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান। ‘ইফেকটিভ এনগেজমেন্ট অব দ্য মিডিয়া ফর সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালায় সভিাপতিত্ব করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও এসজিএস প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদ আজিজ। এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ন সচিব আলোয়ার হোসেন ও ড. মো. রেজাউল বাসার সিদ্দিক।

শরিফা খান বলেন, আমাদের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। তাই আমাদের টার্গেট হচ্ছে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের ওপরে কাজ করা। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এখন ভাইটাল এরিয়া (মুখ্য বিষয়)। গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে আমাদের সার্ভাইভ (টিকে থাকতে) করতে হবে আমাদের নিজেদের ট্রেডের ওপর। খরচ কমিয়ে কীভাবে প্রডাক্টিভিটি বাড়ানো যায় এই বিষয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধার বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের পরিবর্তিত বাণিজ্য পরিস্থিতি মাথায় রেখে এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারলে এলডিসি গ্রাজুয়েশন বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনাও নিয়ে আসবে।

শরিফা খান বলেন, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করলে পণ্য বা সেবার প্রকৃত দামের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দর কষাকষির অবস্থায় পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ। এলডিসির সুযোগকে কাজে লাগাতে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন ইআরডি সচিব। তিনি আরও বলেন, ‘মিডিয়া এলডিসি গ্রাজুয়শনের বিষয়ে দারুণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার ধারণা আছে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে প্রচার করার বিষয়ে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন কী? এটা করলে কী উপকার হবে- এসব বিষয়ে প্রচার করা যেতে পারে।

ভালো গবেষক মিলছে না দাবি করে শরিফা খান বলেন, আমি হিমশিম খাচ্ছি, ভালো গবেষক খুঁজতে। রিচার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমার সন্দেহ আছে একটা জায়গায় ভালো গবেষক পাওয়া যায় না। সেটা হলো প্রডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে। টেকনিক্যাল ইস্যুতে কম লোক পাওয়া যায়। প্রডাক্ট ও বাজার ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে আমরা দীর্ঘ দিন থেকে অনেক কথা বলছি। কিন্তু এখনো আমাদের পোশাক খাতের ওপরে বেশি নির্ভর করতে হয়।আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ, বর্তমানে সেটা হয়ে গেছে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশ।

ইআরডি সচিব বলেন, ‘থিংকট্যাঙ্কদের সেই রকম অ্যাকশন প্ল্যান দেখি না। গতানুগতিক অ্যাকশন দেখে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি ভালো গবেষক আসুক। কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ কিন্তু গবেষণা করা নয়। গবেষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাকআপ তথ্য সরবরাহ করবে। সেইগুলো নিয়ে আমরা পলিসি ফর্মুলেশন করবো।

এসময় তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ আসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইআরডি চেষ্টা করছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারলে এলডিসি গ্রাজুয়েশন বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনাও নিয়ে আসবে।

আনোয়ার হোসেন মূল প্রবন্ধের বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন হওয়ার পর সাতটি চ্যালেঞ্জ দেখা দিবে। এগুলো হচ্ছে-ইনক্লিউসিভনেস, নেগোসিয়েশন, গ্লোবাল ক্রাইসিস, ক্লাইমেট চেঞ্জ, ইনভেস্টমেন্ট, ডাইভারসিফিকেশন, কমপিটেটিভনেস ও পার্টনারশিপ।’ অপরদিকে ড. মো রেজাউল বাসার সিদ্দিক বলেন, ‘তিনটি সূচকের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের সুযোগ পেয়েছে। ২০২১ সালে রিভিউ হয়েছে। করোনার কারণে দিন বছর পর ২০২৪ সালে আবার রিভিও হবে। পরপর দুইটি রিভিউয়ে পাস করতে হবে। তা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। এরপর ২০২৬ সালে গ্রাজুয়েট হবে দেশ। এরফলে দেশে আত্ব মর্যাদা বেড়ে যাবে।

জেডএ/এএস

Header Ad
Header Ad

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে একত্রিত করে একটি বৃহত্তর ঢাকা মহানগরী কাউন্সিল এবং পুরো ঢাকা শহরকে ২০টি সিটি কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এতে সিটি করপোরেশনের বর্তমান ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসা, রাজউক, ডিএমপি, তিতাস. ডেসা, ডিপিডিসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়বে। করপোরেশনের সেবা কার্যক্রম সমন্বিত করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে খবরদারি করতে পারবেন তিনি।

ঢাকা মহানগরীতে কম-বেশি ২০টি সিটি কাউন্সিল করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। কাউন্সিলপ্রধান একজন মেয়রের মতো হলেও কাজের ধরন হবে ভিন্ন। সেন্ট্রাল সিটি করপোরেশনের হাতে থাকবে প্রশাসনিক ক্ষমতা। সেন্ট্রাল শুধু সিটির নিরাপত্তা, আইনি দিক, বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা, ট্যাক্স আদায় করবে। আর কাউন্সিলগুলোর কাজ হবে অধীনস্থ এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন কার্যক্রমসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

নতুন এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন কাঠামো ও কার‌্যাবলী পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য আমরা সিটি গভর্নমেন্টে গুরুত্ব দিয়েছি। লন্ডনে যেমন সিটি গভর্নমেন্ট রয়েছে। প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে মেয়রের ক্ষমতা বাড়বে। অন্যান্য সেবা সংস্থায় মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়ানোর চিন্তা করা হয়েছে। এতে করপোরেশনের সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় হবে এবং কাজ ত্বরান্বিত হবে।

প্রস্তাবনায় আরও রয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য দ্বি-স্তর বিশিষ্ট মহানগর সরকার (সিটি গভর্নমেন্ট) সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ। মধ্য মেয়াদে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে সিটি গভর্নমেন্ট সৃষ্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন কাঠামো : সিটি করপোরেশনের দুটি অংশ। একটি বিধানিক, অন্যটি নির্বাহী। বিধানিক অংশে থাকবেন নির্বাচিত কাউন্সিলররা, কাউন্সিল নেতা (মেয়র), ছায়া কাউন্সিল নেতা, সভাধ্যক্ষ, স্থায়ী কমিটি (৫-৭), সচিব, কাউন্সিল কর্মী। নির্বাহী অংশে থাকবেন মেয়র ও মেয়রস কাউন্সিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দপ্তর।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অন্যান্য প্রস্তাবনা : স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একত্রিত করা। এ ক্ষেত্রে ‘জন প্রকৌশল সেবা’ নামক একটি নতুন অধিদপ্তর সৃষ্টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বেশিরভাগই প্রায় বন্ধ। তাই ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সমস্ত জনবল, সেবা ও সরবরাহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হতে পারে।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে পরিবেশ কর ও পর্যটন কর আরোপের উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি/ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য স্থানীয় সরকারকে কর দিতে হবে। করের হার নির্ধারণে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কর আদায়ের কর্তৃত্ব শুধু ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ নানা ফি ও সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারলেও কর আদায়ের অধিকারী হবে না।

তিন পার্বত্য জেলার সরকারি ৩০টি দপ্তরের যাবতীয় কাজ, জনবল ও অর্থ তিন জেলা পরিষদের কাছে সম্পূর্ণ হস্তান্তর করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা ও এসব প্রতিষ্ঠানের বাজেট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে- জাতীয়ভাবে আহরিত মূসকের এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে কেন্দ্রীয় সরকার আহরিত মোট রাজস্বের এক-চতুর্থাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গত রবিবার স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের অবস্থানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি জানান, সরকার যদি বলে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে তা ডিসেম্বরে হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া যায়। এ অবস্থায় বিএনপি শুধু চায়, ডিসেম্বরের একটি তারিখ ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে না। আমরাও বলছি না আজই নির্বাচন হোক। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে এত বড় পার্থক্য কোথায়?”

এ সময় প্রশাসনে ‘বিএনপির লোক’ বসানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নজরুল ইসলাম বলেন, “যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, তিনি নিজেই সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সেই সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭০০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিলেও, এখনো তাদের কাউকে পদায়ন করা হয়নি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কোথায় বিএনপির লোক বসানো হয়েছে? যারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের যদি একজনও এখন কোনো পদে থাকতেন, তাহলে বলা যেত। আসলে এসব প্রশ্ন আমাদের না করে তাদের করা উচিত।”

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  যা দেশের বাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।  মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এবার ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে।  ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।  এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।  তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস।  চলতি বছর ২৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম।  যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৮ বার, আর কমেছে মাত্র ৬ বার।  আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।  যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।  দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি