মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

'বাংলাদেশের অবস্থা এক ইঞ্জিনে চলা অ্যারোপ্লেনের মতো'

বাংলাদেশের অবস্থা এক ইঞ্জিনে চলা অ্যারোপ্লেনের মত, যে বেশি দূর যেতে পারে না। কিছু দূর চলার পর রানওয়ে খুঁজতে থাকে। এই মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) আয়োজিত ‘ইআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শারমিন রিনভী। ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বাংদেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের বিচ্যুতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাক্তিখাতে বিনিয়োগ না হওয়া, কর আহরনের দূর্বলতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বৈষম্য। এসব বিচ্যুতি ঠিকমতো মোকাবেলা করা না গেলে পরবর্তী উত্তরণ পর্যায়ে পৌছানো সম্ভব হবে না। একইসঙ্গে যে অর্জন হয়েছে সেটিও টেকসই হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল এবং সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশে এবং বিশ্বে এরকম পরিস্থিতি হতে পারে তা আগেই বলা হয়েছিলো। পাশাপাশি এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় স্বল্প মেয়াদি স্থিতিকরণ কর্মসূচি জরুরি উল্লেখ করা হয়েছিলো। যে কারণে জিডিপির অভিলাষ সংযত করে মূল্যষ্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক ও বৈদেশিক লেনদেন নীতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। বৈদেশিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিনিময় হার এবং মূল্যষ্ফীতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দ্রুত শেষ হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মূল সমস্যা বৈদেশিক লেনদেনে নয়। মূল সমস্যা আর্থিক খাতের দূর্বলতা। প্রয়োজনীয় রাজস্ব সংগ্রহ না হওয়া। যে কারণে জ্বালানিতে ভর্তূকি, দরিদ্র্যদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রবৃদ্ধি মূলত রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ দ্বারা ধাবিত। বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়েনি। জিডিপির ২৩ বা ২৪ শতাংশে আটকে আছে। রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ৫/৬ শতাংশ থেকে ৭/৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও হয়নি। এফডিআই জিডিপির এক শতাংশের নিচে। যা গতিশীল অর্থনীতির জন্য যথেষ্ট না। রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বেশি হলে সেগুলোর সুবিধা নিয়ে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা ঘটেনি।

তিনি বলেন, এক দশক ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ শতাংশ হারে। এর অর্থ হচ্ছে আয় বাড়ছে। তাহলে কর সংগ্রহ হচ্ছে না কেন? তাহলে কি হিসাবের গড়মিল আছে। কর সংগ্রহ করতে না পারার কারণে এখন আমদানি করা যাচ্ছে না। খাদ্য সহায়তা বাড়ানো যাচ্ছে না। শুল্ক কমাতে পারছে না। পরোক্ষ কর থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করতে হচ্ছে বেশি। যা সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলছে।

দেবপ্রিয় বলেন, সরকার ভৌত অবকাঠামো যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সেই বরাদ্দ থাকছে না। ২০টি মেগা প্রকল্পের জন্য জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকছে জিডিপির এক শতাংশ। শিক্ষাতেও সমপরিমাণ। রাজনৈতিক শক্তি বৈধতার জন্য খুব দ্রুততার সাথে দৃশ্যমান ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করতে চাচ্ছে। রাজনৈতিক ঘাটতি পুরনের চেষ্টা হচ্ছে। কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগের ফলাফল আসতে দশকের বেশি সময় লাগে। রাজনৈতিক চক্রে এই সময় নেই। পাশাপাশি সরকারের রাজনৈতিক দর্শনের কারণে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বৈষম্য হচ্ছে। করোনার সময় সহায়তা বিতরণে বড় ধরনের বৈষম্য দেখা দিয়েছে। যার যা প্রাপ্য তা নথিভুক্ত হয়নি। ফলে প্রমানিত হয়েছে সরকারের সেবা পাওয়ায় দূর্বল নাগরিকদের অভিগমন সহজ নয়।

তিনি বলেন, দেশে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। বিশেষ জায়গা থেকে বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এতে মেধাভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্যক্তি বিনিয়োগ বিকশিত হচ্ছে না। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকার, মানুষ ও দেশের। বিদ্যুৎ জ্বালানিতে প্রতিযোগিতার সুযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। বিচারের সুযোগও তুলে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাদের বিকাশে সব দেশেই লুণ্ঠন হয়। বাংলাদেশে প্রথমে আর্থিক খাতে লুন্ঠন হয়েছে। পরে হয়েছে পুঁজিবাজারে। এখন সরকারি প্রণোদনায় অতিমূল্যায়িত প্রল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান লুন্ঠন করছে। তবে লুন্ঠনের পরে বিচার ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে তা দেখা যাচ্ছে না। এখানে প্রতিযোগিতার চেয়ে সংযোগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে জবাবদিহিতার জায়গা দূর্বল হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তির।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের অর্জনও আছে। বিচ্যুতিও আছে। এই বিচ্যুতি অর্জনকে দূর্বল করে দিতে পারে। টেকসই অবস্থা কমিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশ অনেক সমস্যা উত্তরণ করে এই অবস্থায় এসেছে। তাই আশা করা যায় আগামীতে সমস্যা উত্তরণ করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

জেডএ/এএস

Header Ad
Header Ad

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে একত্রিত করে একটি বৃহত্তর ঢাকা মহানগরী কাউন্সিল এবং পুরো ঢাকা শহরকে ২০টি সিটি কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এতে সিটি করপোরেশনের বর্তমান ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসা, রাজউক, ডিএমপি, তিতাস. ডেসা, ডিপিডিসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়বে। করপোরেশনের সেবা কার্যক্রম সমন্বিত করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে খবরদারি করতে পারবেন তিনি।

ঢাকা মহানগরীতে কম-বেশি ২০টি সিটি কাউন্সিল করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। কাউন্সিলপ্রধান একজন মেয়রের মতো হলেও কাজের ধরন হবে ভিন্ন। সেন্ট্রাল সিটি করপোরেশনের হাতে থাকবে প্রশাসনিক ক্ষমতা। সেন্ট্রাল শুধু সিটির নিরাপত্তা, আইনি দিক, বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা, ট্যাক্স আদায় করবে। আর কাউন্সিলগুলোর কাজ হবে অধীনস্থ এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন কার্যক্রমসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

নতুন এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন কাঠামো ও কার‌্যাবলী পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য আমরা সিটি গভর্নমেন্টে গুরুত্ব দিয়েছি। লন্ডনে যেমন সিটি গভর্নমেন্ট রয়েছে। প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে মেয়রের ক্ষমতা বাড়বে। অন্যান্য সেবা সংস্থায় মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়ানোর চিন্তা করা হয়েছে। এতে করপোরেশনের সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় হবে এবং কাজ ত্বরান্বিত হবে।

প্রস্তাবনায় আরও রয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য দ্বি-স্তর বিশিষ্ট মহানগর সরকার (সিটি গভর্নমেন্ট) সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ। মধ্য মেয়াদে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে সিটি গভর্নমেন্ট সৃষ্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন কাঠামো : সিটি করপোরেশনের দুটি অংশ। একটি বিধানিক, অন্যটি নির্বাহী। বিধানিক অংশে থাকবেন নির্বাচিত কাউন্সিলররা, কাউন্সিল নেতা (মেয়র), ছায়া কাউন্সিল নেতা, সভাধ্যক্ষ, স্থায়ী কমিটি (৫-৭), সচিব, কাউন্সিল কর্মী। নির্বাহী অংশে থাকবেন মেয়র ও মেয়রস কাউন্সিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দপ্তর।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অন্যান্য প্রস্তাবনা : স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একত্রিত করা। এ ক্ষেত্রে ‘জন প্রকৌশল সেবা’ নামক একটি নতুন অধিদপ্তর সৃষ্টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বেশিরভাগই প্রায় বন্ধ। তাই ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সমস্ত জনবল, সেবা ও সরবরাহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হতে পারে।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে পরিবেশ কর ও পর্যটন কর আরোপের উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি/ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য স্থানীয় সরকারকে কর দিতে হবে। করের হার নির্ধারণে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কর আদায়ের কর্তৃত্ব শুধু ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ নানা ফি ও সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারলেও কর আদায়ের অধিকারী হবে না।

তিন পার্বত্য জেলার সরকারি ৩০টি দপ্তরের যাবতীয় কাজ, জনবল ও অর্থ তিন জেলা পরিষদের কাছে সম্পূর্ণ হস্তান্তর করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা ও এসব প্রতিষ্ঠানের বাজেট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে- জাতীয়ভাবে আহরিত মূসকের এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে কেন্দ্রীয় সরকার আহরিত মোট রাজস্বের এক-চতুর্থাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গত রবিবার স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের অবস্থানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি জানান, সরকার যদি বলে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে তা ডিসেম্বরে হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া যায়। এ অবস্থায় বিএনপি শুধু চায়, ডিসেম্বরের একটি তারিখ ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে না। আমরাও বলছি না আজই নির্বাচন হোক। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে এত বড় পার্থক্য কোথায়?”

এ সময় প্রশাসনে ‘বিএনপির লোক’ বসানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নজরুল ইসলাম বলেন, “যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, তিনি নিজেই সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সেই সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭০০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিলেও, এখনো তাদের কাউকে পদায়ন করা হয়নি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কোথায় বিএনপির লোক বসানো হয়েছে? যারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের যদি একজনও এখন কোনো পদে থাকতেন, তাহলে বলা যেত। আসলে এসব প্রশ্ন আমাদের না করে তাদের করা উচিত।”

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  যা দেশের বাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।  মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এবার ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে।  ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।  এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।  তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস।  চলতি বছর ২৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম।  যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৮ বার, আর কমেছে মাত্র ৬ বার।  আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।  যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।  দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি