১০ দুর্বল ব্যাংককে সবল করা হবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্যিত করা হয়েছে। খেলাপি ঋণের মাত্রা, মূলধন, ঋণ-আমানত ও প্রভিশনের পরিমান উল্লেখ করে এই ক্যাটাগরি চিহ্যিত করা হয়েছে। দুর্বল এই সব ব্যাংককে সবল করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘কোনো ব্যাংক বন্ধ হোক সেটা আমরা চাই না। এ জন্য র্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করে ১০টি ব্যাংককে আলাদা করেছি। আমরা চাই তারা দুর্বল থেকে সবল হোক, ব্যবসা করুক।’
ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্বল ব্যাংকগুলোর নাম বলতে চাই না। তবে পত্রপত্রিকায় ইতোমধ্যে তাদের নাম এসেছে। আমাদের লক্ষ্য, ব্যাংকগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। দুর্বল ১০টি ব্যাংকের মধ্যে প্রথমটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গুড গভর্নেন্সে জিরো টলারেন্স। কেউ ব্যাংক আইন অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ম্যানেজমেন্টকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। এটা ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডকে বলা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে সার্বিক পরিস্থিতি চিহ্নিত করে দশটি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করে এর মনিটরিং বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ভালো করতে পারে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার জন্য থাকবে। রাজনৈতিকভাবে সংসদে আইন হয়ে থাকে। কাজেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচায় দিবেন। ব্যাংকের সুশাসন প্রতিষ্টা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ সংক্রান্ত একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় বড় ঋণে ঝুঁকে পড়ে ব্যাংকগুলো। এ জন্য খেলাপি ঋণ বাড়ে। তাই বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করা হবে। যাতে খেলাপি ঋণ না বাড়ে। দেশের পুঁজিবাজার যত দূর যাওয়ার কথা ছিল, সেটা পারেনি। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা।’
জেডএ/এমএমএ/