ডলারে অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা
ডলারে অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগে আমরা ১০টি টিম মার্কেটে পাঠিয়েছিলাম। মার্কেটে গিয়ে তারা কিছু তথ্য পেয়েছে। অনলাইনে ফরেক্স ট্রেডিং বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করে এমন ডিজিটাল প্লাটফর্মে ডলারের কারসাজি হচ্ছে কি না, তা ধরতে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রবিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের এ সব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের দাম একবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেটে ডলার বেচা কেনা না করে যে যার মতো দামে ডলার বিক্রি করছে। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ডলারের সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া অন্যসব পণ্যের আমদানির এলসিতে শতভাগ মার্জিনসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে। এছাড়া ডলারের দাম বাড়িয়ে যেসব মানি চেঞ্জার ও ব্যাংক অন্যায্য মুনাফা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের কারসাজি রোধে অভিযান শুরু হয়েছে যা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন ‘ডলার নিয়ে কোনো অনিয়ম পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয় এমন সব প্রতিষ্ঠানে রবিবার (৩১ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২টি পরিদর্শন টিম গেছে। এসব প্রতিষ্ঠান হুন্ডি বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় ডলার কেনাবেচা করছে কি না পরিদর্শন টিম দেখবে। যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায় সে রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
যাদের লাইসেন্স আছে তারা ছাড়াও অনেকে ডলার কেনাবেচনার সঙ্গে জড়িত পাওয়া গেছে। যারা এমন ব্যত্যয় ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও বলা হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুলাইয়ে ১ হাজার ১৩৬ মিলিয়ন ডলার সরকারের জরুরি খাতগুলোর পণ্য আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে সাপোর্ট দিয়েছে। বাজার ঠিক রাখতে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকবে।’
জেডএ/