কয়েকটি ব্যাংকের কারণে ডলারের বাজার অস্থির
ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলতে থাকায় ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, ‘একটি গোষ্ঠীর মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার কারণে ডলারের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।’
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক খাতের সমসাময়িক আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এফবিসিসিআইয়ের মতে, কিছু বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডলার সংকটের সুযোগ নিয়ে দ্রুততম সময়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘সম্প্রতি খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছে ১১২ টাকা। এমনকি ব্যাংকগুলোও ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা দর রাখছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে ৯ থেকে ১৪ টাকা বেশি। এক দিনেই দাম বাড়ে ৭ টাকা, যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।’
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার বর্তমানে অচল। এটাকে সচল করতে হবে। আমাদের মতো দেশে ডলারের বাজার একেবারে ফ্রি ফ্লোর করা সম্ভব না। কিছুটা ম্যানেজ করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগে ঋণ পুনঃতফসিল হতে তিন-চার মাস সময় লাগত। এখন ঋণ পুনঃতফসিল হবে সর্বোচ্চ সাত দিনে। এতে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি ভালো হবে। সম্প্রতি ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনে জারি করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাস্টার সার্কুলারের ফলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতেও জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা নতুন পুনঃতফসিল নীতিমালা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটা কার্যকরী হবে, এখানে ব্যাংক খাতকে ছাড় দেওয়া হয়নি। ঋণ পুনঃতফসিল-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনটি ব্যাংকারদের দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহি করবে। যদি ব্যাংকগুলোয় সুশাসন এবং দক্ষ জনবল থাকে, তাহলে অবশ্যই সেই ব্যাংক এই সার্কুলারের মাধ্যমে ভালো ফলাফল করবে।
এডিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ব্যাংক মূলত স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়। সর্বোচ্চ দুই-তিন বছরের জন্য চলতি মূলধন বিতরণ করে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এটা ভালো দিক নয়।’
জেডএ/এমএমএ/