এসএমই ফাউন্ডেশনের ডিবিআইডি নিবন্ধন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
‘ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন’ কর্মশালা আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ভার্চ্যুয়ালি এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। অনলাইন ওয়ার্কশপে ৯৫জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে অংশগ্রহণ করেন আরও প্রায় দেড়শ’ উদ্যোক্তা।
মূল প্রবন্ধে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ এবং জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১-এর আলোকে ২৯ জুন ২০২২ ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন’ নির্দেশিকা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, নির্দেশিকা জারির ৯০ দিন অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২-এর মধ্যে ডিবিআইডি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে এতে প্রতীয়মান হয় ডিবিআইডি ছাড়া বিদ্যমান ই-কমার্স উদ্যোক্তারা অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। নতুন উদ্যোক্তাকে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ চালু করে আবেদন করতে হবে।
ডিবিআইডি নম্বরটি হবে ইউনিক ও অটো-জেনারেটেড। ডিবিআইডি নিবন্ধনের লক্ষ্য, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা, ডিজিটাল কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকারভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করা এবং প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বীকৃতি প্রদান করা। ডিবিআইডি নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য আবেদনকারীকে এনআইডি দাখিল করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা পরিচালকদের এনআইডি, ট্রেড লাইসেন্স ও আরজেএসসি নিবন্ধন নম্বর থাকলে দাখিল করতে হবে। সেই সঙ্গে ভ্যাট নিবন্ধন ও ইটিআইএন থাকলে সেগুলোও দাখিল করতে হবে। ভাড়া অফিস হলে বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ও বাড়ির মালিকের এনআইডি’র কপি দিতে হবে।
তবে ডিজিটাল মাধ্যমে এমএলএম বা নেটওয়ার্কিং ব্যবসা, নেশা সামগ্রী, বিস্ফোরক সামগ্রী এবং জুয়া, অনলাইন বেটিং বা গেম্বলিং প্রতিষ্ঠান ডিবিআইডি’র জন্য আবেদন করতে পারবে না।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের একই নামের একাধিক প্রতিষ্ঠান বা একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক নামে আবেদন, সক্রিয় ওয়েবসাইট বা সামাজিক মাধ্যমে পেজ এবং সেখানে বাংলায় ক্রয় বিক্রয় বা অন্যান্য শর্তাবলী আছে কি না, তা যাচাই বাছাই শেষে সনদ প্রদান করবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ’ (আরজেএসসি)।
আর তথ্য যথাযথ না হলে আবেদন নামঞ্জুর করে আবেদনকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে। ডিবিআইডি নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে প্রদর্শন করতে হবে। কোনো কারণে ডিবিআইডি বাতিল হলে সেটি প্রদর্শন করা যাবে না।
ডিবিআইডি নিতে ভুল তথ্য দিলে ডিজিটাল কমার্স পলিসি, নির্দেশিকা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮ বা দেশে প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল পুরো বিষয়টি তদারকি করবে। এ ছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট ও বিএফআইইউ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তদারকি করতে পারবে।
ড. রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়েবিনারে অংশগ্রহনকারীদের মধ্য থেকে প্রায় ২১ জনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এমএমএ/