লক্ষ্য অর্জনে বিএইচবিএফসির রেকর্ড
ঋণ মঞ্জুরী, বিতরণ ও খেলাপি ঋণ আদায় এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড তৈরি করেছে। শ্রেণিকৃতঋণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বিদায়ী অর্থবছর শেষে শ্রেণিকৃত ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। যা সকল সরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। এই চিত্র সরকারি পর্যায়ে গৃহঋণ প্রদানকারী একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি)। বিদায়ী (২০২১-২২) অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি এভাবেই প্রায় সবগুলি সূচকে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানান।
বিচারাধীন মামলা ও সামগ্রিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও অতীতের যে কোন বছর অপেক্ষা অধিক সাফল্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বছরজুড়ে বিরূপ আর্থসামাজিক অবস্থার মধ্যেও প্রায় প্রতিটি সূচকে রেকর্ড এ অর্জন কর্তৃপক্ষের নিবিড় তদারকি ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অদম্য আন্তরিক পরিশ্রমের ফসল বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।
৮৬টি অফিসের মাধ্যমে ৬০১ জন জনবল দিয়েই এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ঋণ ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট সংখ্যা মোট ১২টি। এসব প্রোডাক্টের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুরীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০০ কোটি টাকা।
বিদায়ী বছরে মঞ্জুরী ও ঋণ বিরতণ হয়েছে যথাক্রমে ৭১৪ দশমিক ৮৪ ও ৫৮৮ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঋণ মঞ্জুরীর পরিমাণ শতকরা ১০২ দশমিক ১২ শতাংশ ও ঋণ বিতরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
গত অর্থবছরে শ্রেণিকৃত ঋণ থেকে আদায় হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। আর অশ্রেণিকৃত ঋণ থেকে আদায় হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৮০ কোটি টাকা বেশি। বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বমোট ঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ৫৬৫ দশমিক ৮ কোটি টাকা। যা আগের বছর অপেক্ষা ৮৬ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা বেশি।
জেডএ/