রাস্তার পাশের খালে একটি ভাসমান এক্সক্যাভেটরে লোহার শিট দিয়ে বানানো হয়েছে অস্থায়ী চলার পথ। ওই শিটের ওপর বিছানো হয়েছে লাল রঙের কার্পেট। সেখান থেকে কার্পেট উঠে এসেছে সড়কে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা সড়ক থেকে ওই লালগালিচা বিছানো পথে হেঁটে এক্সক্যাভেটর দিয়ে উদ্বোধন হল ঢাকার খাল সংস্কার কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ছবি ছড়িয়ে পরলে নেটিজেনদের সমালোচনা-আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয় লালগলিচা।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের রূপসী প্রো-অ্যাকটিভ সিটির কাছে বাউনিয়া খাল খনন উদ্বোধনকালে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
খাল উদ্বোধনের জন্য লালগালিচা বিছানোর কারণ জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, “ডিএনসিসি বিষয়টির একটি ব্যাখ্যা দিচ্ছে।”
পরে সংবাদমাধ্যমে একটি প্রেস নোট পাঠায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইনের স্বাক্ষরে পাঠানো প্রেস নোটে বলা হয়, রোববার মিরপুরে বাউনিয়া খালের প্রান্তে খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া শেষে অতিথিরা ভাসমান এক্সক্যাভেটরে ওঠেন।
“ভাসমান এক্সক্যাভেটর কোনো স্থায়ী পন্টুনে নয়, একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছে। এক্সক্যাভেটরে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদা-মাটির এবং এক্সক্যাভেটরের মেঝেটি পিচ্ছিল। এ কারণে অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেটের মত ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।”
সিটি করপোরেশন বলছে, “এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়, বরং শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু ভাসমান এক্সক্যাভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ছয়টি খালের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। পরে ওপরের সড়কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তারা।