সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি: সিপিডি

বিশ্ব বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। সুশাসনের অভাব ও বাজার কারসাজির কারণে এই অবস্থা হয়েছে। এ বাড়তি দামের চাপ মানুষের উপর পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে গরীব মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

রবিবার (২০ মার্চ) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ( সিপিড) এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির সম্মেলন কক্ষে এ ব্যাপারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। আলোচক ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনসহ অন্যরা।

পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারী বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বিভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। সামাজিক দুরত্বসহ জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে নেওয়া পদক্ষেপগুলি অর্থনীতির চাহিদা এবং যোগান উভয় দিককেই দুর্বল করে তুলেছে। এই করোনার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তাপেও দেশে বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুশাসনের অভাব ও বাজার সিন্ডিকেটে বাড়াচ্ছে দাম। যা বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ আমাদের চেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের গড় আয় অনেক বেশি।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশে একদিকে নিত্যপণ্যের আকাশ চুম্বি দাম, অন্যদিকে, মুল্যস্ফীতি স্থিতিশীল। এটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সারা বিশ্বে মুল্যস্ফীতি বাড়ছে, এটা আকাশ চুম্বি। অথচ আমাদের দেশে ৬ শতাংশের বেশি না। এটা বাজারের সঠিক চিত্র প্রকাশ করে না। কারণ কোনো কোনো পণ্যের দাম ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। চাল, ডাল পেঁয়াজ তেলের দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়েছে। তারপরও মুল্যস্ফীতি স্থিতিশীল দেখা যায। মানুষের আয় বাড়লেও প্রকৃত আয় কম হওয়ায় ক্রয় ক্ষমতা কমেছে দেশে।’

সিপিডি বলছে, ‘গত এক বছরে দেশে প্রায় ৮৪ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যেখানে বিশ্ব বাজারে এর দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। জ্বালানির এই বাড়তি দাম মেটাতে দেশকে চাপে পড়তে হবে।


ফাহমিদা বলেন, ‘ খাদ্য ও খাদ্য বহিভূত মিলে মনে হচ্ছে মূল্যস্ফীতি তেমন বাড়ছে না। কিন্তু আসলে সব জিনিসের দাম তো বাড়ছে। তাহলে মোটের উপর মূল্যস্ফীতি আরও বেশি । তাইতো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। মিনিকেট, পাইজাম ও ইরি-বোরোর আবাদ বাড়ছে। দেশে উৎপাদন ভালো হলেও চালের দাম কমছে না। দেখা যায় ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারিতে মিনিকেট চালের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি ছিলো। সেই চাল গত জানুয়ারিতে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। ৪৮ টাকা পাইজাম হয়েছে ৫৭ টাকা কেজি। আর ৩৯ টাকার ইরি-বোরো হয়েছে ৪৫ টাকা। এভাবে প্রায় চালের দাম অনেকে বেড়েছে। অথচ ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। খাদ্যের মধ্যে প্যাকেট আটার কেজিতে ৩৫টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। খোলা আটার দামও একইভাবে বেড়েছে।’


ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ার তালিকায় দেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে- ভোজ্যতেল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে যে তেলের লিটার ১৪০ টাকা ছিলো, বছরের ব্যবধানে এই মার্চে প্রতি লিটার তেলের দাম হয়েছে ১৭০ টাকার বেশি। যা বিশ্বে ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা। মাংসের দামও বছরের দাম ৫৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭০ টাকা কেজি। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে ৪০০ থেকে হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি।


তিনি আরও বলেন, খাদ্যের মধ্যে চিনির দাম ৬৭ টাকা থেকে হয়েছে ৭৭ টাকা কেজি। যা বিশ্বে ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। এমনি কি দেশে অনেক উৎপাদন হয়ে বছরের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে অনেক। দেশে এক ডজন ডিমের দাম ১১১ টাকা হয়েছে। যা মালেয়েশিয়ায় ৮৬ টাকা ডজন। অথচ ওই দেশের মাসিক আয় আমাদের চেয়ে ৪২০ ডলার বেশি। কারণ আমাদের দেশে মাসিক আয় ১৪৯ ধরা হলেও তাদের আয় ৬৬৯ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে মাসিক গড় আয় ৩ হাজার ৯৫৫ ডলার হলেও ১০৩ টাকা ডজন ডিম কিনতে হয় ভোক্তাদের। তাদের আয় অনেক বেশি হলেও কম দামে এসব পণ্য কিনতে পারছে তারা।’

শুধু তাই নয়, মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সম্প্রতি পেঁয়াজের দামও অনেক বেড়েছে। ফাহমিদা বলেন, ‘বছরের ব্যবধানে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৫৫ থেকে বেড়ে এই মার্চে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। অথচ আমাদের মাসে গড় আয় ১৪৯ ডলার। যেখানে বেলগ্রেড ও সার্বিয়াতে মাসে আয় ৩৩৫ ডলার। কিন্তু তাদের ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। গুড়া দুধসহ অন্যান্য খাদ্য পণ্যেরও একই চিত্র।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সব মিলে বলা যায়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেশি। বাজারে কারসাজি রয়েছে। সুশাসনের অভাবও রয়েছে। এরফলে সুযোগ সন্ধানীরা বেশি সুযোগ নিচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করে বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত দরকার। সরবরাহ যাতে যথেষ্ট থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে, দক্ষতা ও সুচারুভাবে ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে বাজার ব্যবস্থা।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক লেনদেনের (ব্যালান্স অপ পেমেন্ট) ভারসাম্যে খুবই ফারাক দেখা দিয়েছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ৭ মাসে মাইনাস বা ঋনাত্বক হয়েছে ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি ) ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময়ে ৬ বিলিয়ন ডলার প্লাসে ছিলো। এরফলে রিজার্ভেও প্রভাব পড়েছে। কারণ ঘাটতি বলা যায় ৮ বিলিয়ন ডলার। রেমিটেন্স দিয়েও এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না। কারণ ইনফরম্যাল চ্যানেলে রেমিটেন্স আসছে দেশে। আবার ইনভয়েস ও ওভার ভয়েসের মাধ্যমেও টাকা চলে যাচ্ছে বাইরে। কাজেই খুবই সর্তকতার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি দেখা দরকার সরকারকে। এটা একটা অভিঘাত, অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’

 

জেডএ/এসএ/

Header Ad

কোটা বাতিলের দাবিতে এবার রেলপথ অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে রাজশাহীর।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচের রেলপথে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে সকল হল থেকে প্যারিস রোডে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে এক বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, মেয়েদের হল ও ছেলেদের হল হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এখানে এসে সমাবেশ শুরু করেন তারা। এসময় রাজশাহী শহরের ভদ্রা থেকে খড়খড়ি বাইপাসের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা', 'সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে', 'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান', 'কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম', '১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আবার', 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে', 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই', 'লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে'সহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো— ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে; কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৬ জুন থেকে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে, মানববন্ধন, সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মহাসড়ক অবরোধের মত কর্মসূচি পালন করেছে তারা।

কোটা বাতিল ইস্যুতে সরকার আন্তরিক: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র দিয়ে সকল কোটা বিলুপ্ত করেছিল সরকার। পরে সেই পরিপত্র হাইকোর্ট বাতিল করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী আপিল করেছেন। সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৮ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দেবেন সেটাই আওয়ামী লীগের বক্তব্য, সেটাই সরকারের বক্তব্য। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি সকল কোটা বিলুপ্ত করেছেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করে। হাইকোর্ট সেই পরিপত্র বাতিল করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী আপিল করেছেন। সরকার কোটা বাতিলের প্রতি আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল দায়ের করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন, তা নিয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করা আইনসিদ্ধ নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে একসময় চূড়ান্ত রায় দেবেন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে। রায় না হওয়া পর্যন্ত মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি পরিহার করা উচিত। কারণ এখন এইচএসসি পরীক্ষা চলছে।

আমরা মনে করি, দেশের উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই রায় দেবেন বলেও মন্তব্য করেন কাদের। কাদের জানান, এর আগের কোটা আন্দোলনে প্রথম সারির ৩১ নেতা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হতে পারেননি।

কোটা আন্দোলনে বিএনপি ভর করেছে জানিয়ে কাদের বলেন, এই আন্দোলনে রাজনৈতিক বিষয় যুক্ত হয়েছে। বিএনপি প্রকাশ্যে এই আন্দোলনে ভর করেছে, সাপোর্ট করে তারা অংশগ্রহণ করেছে। কারা কারা এই আন্দোলনে যুক্ত বা ষড়যন্ত্রের অংশ তা আন্দোলনের গতিধারা দেখে বোঝা যাবে। পরিষ্কার হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

এ ছাড়া পেনশন ব্যবস্থায় সবার জন্য যা ভালো হয়, সরকার সেই সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুরসহ অনেকে।

চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

ডা. একে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ভোরে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এদিন ভোর ৫টার দিকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ভোর সোয়া ৪টার দিকে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন।

এর আগে গত ২ জুলাই তিনি ১১ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাসায় ফেরেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভাকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এর একদিন পর ২২ জুন তার হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

সর্বশেষ সংবাদ

কোটা বাতিলের দাবিতে এবার রেলপথ অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
কোটা বাতিল ইস্যুতে সরকার আন্তরিক: ওবায়দুল কাদের
চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ফাঁস, বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে কোথায়
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
‘পিস্তল’ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, দুই যুবক আটক
নিলামে উঠল নেপোলিয়নের পিস্তল, বিক্রি সাড়ে ২১ কোটি টাকায়
সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ
নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫
বরিশালে বিষপান করে কেন্দ্রে এসে জ্ঞান হারাল এইচএসসি পরীক্ষার্থী
আবারও হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
দেশে ফিরলেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি, মারা গেছেন ৬২ জন
দুবাইয়ে গাড়ি বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁয় শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শতভাগ সফল হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস!
এবার এক দফা দাবিতে আবারও ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা