শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি: সিপিডি

বিশ্ব বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। সুশাসনের অভাব ও বাজার কারসাজির কারণে এই অবস্থা হয়েছে। এ বাড়তি দামের চাপ মানুষের উপর পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে গরীব মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

রবিবার (২০ মার্চ) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ( সিপিড) এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির সম্মেলন কক্ষে এ ব্যাপারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। আলোচক ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনসহ অন্যরা।

পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারী বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বিভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। সামাজিক দুরত্বসহ জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে নেওয়া পদক্ষেপগুলি অর্থনীতির চাহিদা এবং যোগান উভয় দিককেই দুর্বল করে তুলেছে। এই করোনার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তাপেও দেশে বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুশাসনের অভাব ও বাজার সিন্ডিকেটে বাড়াচ্ছে দাম। যা বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ আমাদের চেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের গড় আয় অনেক বেশি।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশে একদিকে নিত্যপণ্যের আকাশ চুম্বি দাম, অন্যদিকে, মুল্যস্ফীতি স্থিতিশীল। এটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সারা বিশ্বে মুল্যস্ফীতি বাড়ছে, এটা আকাশ চুম্বি। অথচ আমাদের দেশে ৬ শতাংশের বেশি না। এটা বাজারের সঠিক চিত্র প্রকাশ করে না। কারণ কোনো কোনো পণ্যের দাম ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। চাল, ডাল পেঁয়াজ তেলের দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়েছে। তারপরও মুল্যস্ফীতি স্থিতিশীল দেখা যায। মানুষের আয় বাড়লেও প্রকৃত আয় কম হওয়ায় ক্রয় ক্ষমতা কমেছে দেশে।’

সিপিডি বলছে, ‘গত এক বছরে দেশে প্রায় ৮৪ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যেখানে বিশ্ব বাজারে এর দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। জ্বালানির এই বাড়তি দাম মেটাতে দেশকে চাপে পড়তে হবে।


ফাহমিদা বলেন, ‘ খাদ্য ও খাদ্য বহিভূত মিলে মনে হচ্ছে মূল্যস্ফীতি তেমন বাড়ছে না। কিন্তু আসলে সব জিনিসের দাম তো বাড়ছে। তাহলে মোটের উপর মূল্যস্ফীতি আরও বেশি । তাইতো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। মিনিকেট, পাইজাম ও ইরি-বোরোর আবাদ বাড়ছে। দেশে উৎপাদন ভালো হলেও চালের দাম কমছে না। দেখা যায় ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারিতে মিনিকেট চালের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি ছিলো। সেই চাল গত জানুয়ারিতে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। ৪৮ টাকা পাইজাম হয়েছে ৫৭ টাকা কেজি। আর ৩৯ টাকার ইরি-বোরো হয়েছে ৪৫ টাকা। এভাবে প্রায় চালের দাম অনেকে বেড়েছে। অথচ ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। খাদ্যের মধ্যে প্যাকেট আটার কেজিতে ৩৫টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। খোলা আটার দামও একইভাবে বেড়েছে।’


ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ার তালিকায় দেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে- ভোজ্যতেল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে যে তেলের লিটার ১৪০ টাকা ছিলো, বছরের ব্যবধানে এই মার্চে প্রতি লিটার তেলের দাম হয়েছে ১৭০ টাকার বেশি। যা বিশ্বে ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা। মাংসের দামও বছরের দাম ৫৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭০ টাকা কেজি। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে ৪০০ থেকে হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি।


তিনি আরও বলেন, খাদ্যের মধ্যে চিনির দাম ৬৭ টাকা থেকে হয়েছে ৭৭ টাকা কেজি। যা বিশ্বে ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। এমনি কি দেশে অনেক উৎপাদন হয়ে বছরের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে অনেক। দেশে এক ডজন ডিমের দাম ১১১ টাকা হয়েছে। যা মালেয়েশিয়ায় ৮৬ টাকা ডজন। অথচ ওই দেশের মাসিক আয় আমাদের চেয়ে ৪২০ ডলার বেশি। কারণ আমাদের দেশে মাসিক আয় ১৪৯ ধরা হলেও তাদের আয় ৬৬৯ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে মাসিক গড় আয় ৩ হাজার ৯৫৫ ডলার হলেও ১০৩ টাকা ডজন ডিম কিনতে হয় ভোক্তাদের। তাদের আয় অনেক বেশি হলেও কম দামে এসব পণ্য কিনতে পারছে তারা।’

শুধু তাই নয়, মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সম্প্রতি পেঁয়াজের দামও অনেক বেড়েছে। ফাহমিদা বলেন, ‘বছরের ব্যবধানে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৫৫ থেকে বেড়ে এই মার্চে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। অথচ আমাদের মাসে গড় আয় ১৪৯ ডলার। যেখানে বেলগ্রেড ও সার্বিয়াতে মাসে আয় ৩৩৫ ডলার। কিন্তু তাদের ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। গুড়া দুধসহ অন্যান্য খাদ্য পণ্যেরও একই চিত্র।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সব মিলে বলা যায়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেশি। বাজারে কারসাজি রয়েছে। সুশাসনের অভাবও রয়েছে। এরফলে সুযোগ সন্ধানীরা বেশি সুযোগ নিচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করে বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত দরকার। সরবরাহ যাতে যথেষ্ট থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে, দক্ষতা ও সুচারুভাবে ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে বাজার ব্যবস্থা।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক লেনদেনের (ব্যালান্স অপ পেমেন্ট) ভারসাম্যে খুবই ফারাক দেখা দিয়েছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ৭ মাসে মাইনাস বা ঋনাত্বক হয়েছে ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি ) ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময়ে ৬ বিলিয়ন ডলার প্লাসে ছিলো। এরফলে রিজার্ভেও প্রভাব পড়েছে। কারণ ঘাটতি বলা যায় ৮ বিলিয়ন ডলার। রেমিটেন্স দিয়েও এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না। কারণ ইনফরম্যাল চ্যানেলে রেমিটেন্স আসছে দেশে। আবার ইনভয়েস ও ওভার ভয়েসের মাধ্যমেও টাকা চলে যাচ্ছে বাইরে। কাজেই খুবই সর্তকতার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি দেখা দরকার সরকারকে। এটা একটা অভিঘাত, অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’

 

জেডএ/এসএ/

Header Ad
Header Ad

জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রফতানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রফতানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রফতানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রফতানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল - জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

মুন্সীগঞ্জে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা

সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কাভার্ডভ্যান ও একটি কন্টেইনারের সঙ্গে সংঘর্ষে উড়ে গেছে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ। পরপর তিন দফা দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন বাসের অন্তত ২০ যাত্রী।

তবু বাস না থামিয়ে ছাদবিহীন গাড়িটি ১০ কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে জনরোষে গাড়ি থামাতে বাধ্য হন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৬০ যাত্রী ছিলেন।

বাসের যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাসটি দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় পৌঁছেলে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকে। সমষপুর এলাকায় পৌঁছে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বডি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা চালককে থামাতে অনুরোধ করলেও সে তা উপেক্ষা করে।

যাত্রীরা বলেন, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন চলন্ত বাস চালিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের পদ্মা সেতু উত্তর থানার লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় আহত যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে বাসটি আটক করে জনতা।

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহিন নামের এক যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চালক ও হেলপার বাস রেখে পালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা

ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় কোলের সন্তান ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন স্ত্রী। সেই টাকায় পায়ের নূপুর, নাকের নথ, শখের মোবাইল ফোন কিনেছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি। তবে এখন তিনি অনুতপ্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের শেওড়াতলা এলাকায়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী থানা-পুলিশকে ঘটনা জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।

শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুরের বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার দুই বছর আগে বিয়ে হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাঁদের এ বিয়ে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে রবিউল সংসারে শান্তির প্রয়োজনে বাড়ির পাশেই ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত চার মাস আগে তাঁদের সংসারে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়।

রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছেলে তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে শান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে ঘরসংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। আমি কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি।

বারবার যোগাযোগের পর আজ (বৃহস্পতিবার) লাবনী সন্তান বিক্রি করে ফেলার খবর দেয়। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে শিশু তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।’

শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, ‘আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় তামিমকে বিক্রি করেছি। ওই টাকা দিয়া মোবাইল, পায়ের নূপুর ও নাকের নথ কিনছি। এইডা আমার ভুল হইছে।’

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, ‘লাবনী নামের এক মা তার ছেলেকে বিক্রি করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!
নওগাঁয় বাসায় ঢুকে তরুণকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব