বৃহস্পতিবারের বাজারদর
কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, উড়ছে মুরগি
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে ২০০ টাকা পাল্লা ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। তবে আগের দামেই সয়াবিন তেল ২ লিটার ৩৩৫ টাকা ও ৫ লিটার সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আদা, রসুন, ডাল, চিনি, আলু, মাছ, গরু ও খাসির মাংস, ডিমসহ অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
পেঁয়াজ কেজিতে কমেছে ১০ টাকা
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কেজিতে কমেছে ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। মেসার্স মাতৃ ভান্ডারের আ. কালাম শেখ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন ‘আগের সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। যা বর্তমানে ৩৯ টাকা কেজি। আর মতলব বাণিজ্যালয়ের করিম বলেন, দাম কমায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগের মতোই দেশি রসুন সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ও চায়না রসুনের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি আদার কেজি ৯০ টাকা ও চায়না আদা ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আলুর দামও কেজিতে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। আলু পাইকারি বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পাল্লা বা ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে তা ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। টমেটো খুচরা পর্যায়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শসা ৩০ টাকা, গাঁজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা কেজি, শাকের আঁটি ৮ থেকে ১০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। মরিচও বেশি দামে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে করলার কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থির ভোজ্যতেলের বাজার
সয়াবিন তেল আগের মতোই ২ লিটার ৩১৫ টাকা ও ৫ লিটার ৭৯০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। মিলমালিকরা কমালে বাজারে কমবে তেলের দাম বলে ব্যবসায়ীরা জানান। কারওয়ান বাজারের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের ইউসুফ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে ২ লিটার ৩৩৫ টাকা, ৫ লিটার ৮০০ টাকা, ডালের কেজি ১২০ টাকা, চিনি ৭৮ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, আটা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে’।
কমেনি চালের দাম
চালের দাম নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও কমেনি দাম। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের মেসার্স কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মো. আবুল কাসেম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘আগের সপ্তাহের মতো মিনিকেট ৬৫ টাকা কেজি, বিআর-২৮ চাল ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা, পারিজা ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ তবে একই চাল কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পাইকারির চেয়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
স্থিতিশীল মাছের বাজার
আগের সপ্তাহের মতোই মাছের বাজার স্থিতিশীল বলে বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী এনামুল বলেন,‘আকারভেদে রুই ও কাতল ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি আকারভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩০০, দেশি শিং ৬০০-৭০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা ও দেশি ৫০০ টাকা, দেশি শোল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৭০০, আইড় আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা। তবে ইলিশ মাছও আকারভেদে ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
আগের দামে গরু-খাসির মাংস, বেড়েছে মুরগির দাম
আগের সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস ৬৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে আগের চেয়ে বেশি দামে পাকিস্তানি কক মুরগি ২৮০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জননী মুরগির আড়তের আব্দুল ওহাব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘মুরগির দাম একটু বেড়েছে, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে’। আগের সপ্তাহের মতোই ডিমের ডজন সর্বোচ্চ ১১০ টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেডএ/আরএ/