মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মধ্যবিত্তরাও এখন টিসিবির লাইনে

‘প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। জীবনে প্রথম আসা। তারপর ১৮ নম্বর সিরিয়াল (ক্রমিক নম্বর) পেয়ে আড়াইটায় পেলাম টিসিবির পেঁয়াজ, চিনি, তেল ও ডাল। ব্যাগে ভরে নিচ্ছি। কারণ অফিস হয়ে বাসায় যাব।’ প্রচণ্ড রোদে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় পিপাসা লেগেছে। তাই পানি পান করতে করতে এভাবেই ট্রাকসেলের পাশে বসে মনির হোসেন কম দামের পণ্য কেনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। আর ৯৪ নম্বর সিরিয়াল পাওয়া শাহজাহান বলেন, ‘অনেক লম্বা লাইন। পাব তো? দোকান বন্ধ করে এসেছি। তেলের দাম এতো বেশি যে বাইরে কেনা সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি।’ বেসিক ব্যাংকের মো. শহিদুল ইসলামেরও একই শঙ্কা। বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, শেষে পাব তো?

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ট্রাকসেল থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে শুধু এই তিন জনই নয়, সোমবার ( ৭ মার্চ) টিসিবির পণ্য পেতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকসেলের একই দশা চোখে পড়ে। তবে ডিলাররা বলছেন, টিসিবি থেকে যা দেওয়া হয়েছে, তা শেষ হয়ে গেলে আমরা চলে যাব। আবার কালকে আসব। কেউ না পেলে আমাদের করার কিছু নেই।

সারা দেশে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে টিসিবির পণ্যের চাহিদা। মাঝপথে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সাত দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার ( ৬ মার্চ) থেকে আবার শুরু হয়েছে পণ্য বিক্রি। কিন্তু দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পণ্য পাচ্ছেন না। জীবনে প্রথমবারের মতো এসেও অনেকে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ন কবির ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে এই নিত্যপণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজারের চেয়ে টিসিবির পণ্যের অনেক কম দাম। তাই ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু আমাদের সিস্টেমে এসব পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর বেশি দেওয়া এ মুহূর্তে সম্ভব নয়।

লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের হাতে সিরিয়ল দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা টিসিবি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে হয়ত কোনো কোনো ডিলার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।’ এটা ভালো দিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত রোজার চেয়ে এবার তিন গুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আগে না থাকলেও এবার শুধু ঢাকা শহরের দুই সিটিতে ১৫০টি ট্রাকসেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ডিলারের মাধ্যমে ৮৮ লাখ পরিবারকে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

টিসিবি বলছে, সকাল ১০টার পর থেকেই নির্ধারিত স্থানে ১৫০টি ট্রাকসেলে ডিলাররা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গোডাউন থেকে মালামাল তুলে তারা বিক্রি করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল ১০টা থেকে কম দামে কয়েকটি পণ্য নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ালেও দেখা মেলে না ট্রাকের। নিম্ন আয়ের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও অফিসের এক ফাঁকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তারপরও পাচ্ছেন না তেল, ডাল, চিনি পেঁয়াজ।

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বেসিক ব্যাংকের মো. শহিদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জীবনে এই প্রথম এসেছি। বাজারে চিনি, পেঁয়াজ, তেল, ডালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই কম দামে পাওয়ার আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাব কিনা শঙ্কায় আছি।’

একই কথা বলেন, রুপনগর থেকে আসা চায়ের দোকানদার শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘বেশি দামে তেল কেনা সম্ভব নয়। তাই দোকান বন্ধ করে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ৪৭ নম্বর সিরিয়াল পেয়েছি। পাইলে তো ভালো, না পেলে সব বরবাদ হয়ে যাবে।’

শুধু পুরুষই নয়, সময় বুঝে কম দামে পণ্য পেতে মহিলারাও দাঁড়াচ্ছেন লাইনে। কমলাপুর থেকে আসা তানজিলা আক্তার বলেন, ‘স্বামী বেকার। ২ ছেলে-মেয়ে রেখে কম দামে পাব বলে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সামনে অনেক ভিড়। সিরিয়াল দিয়েও অনেকে উঁকি দিচ্ছেন। তাই ভয়ে আছি পাব কি না?

ঠিক সময়ে না আসার কথা স্বীকার করে শাপলা চত্বরে মিন্জু এন্টারপ্রাজের বিক্রয়কর্মী হাসান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, দুপুর ১টার সময় এসেছি। এটা সেটা করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। লাইনে অনেক মানুষ। সবাইকে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। আবার কালকে আসব।’

কম দামে পণ্য পেতে প্রেসক্লাব, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় একই চিত্র দেখা গেছে। সকাল ১০টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোক্তারা। কিন্তু ঠিক সময়ে আসে না ট্রাক। কোথায়ও ১২টা, কোথায় আবার ১টার পর আসছে ট্রাক। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হুড়োহুড়ি করছেন। অনেকে সিরিয়াল নম্বর নিয়েও চেষ্টা করছেন কীভাবে আগে নেওয়া যায়।

আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে দুবার করে কম দামের পণ্য দেওয়ার জন্য রবিবার থেকে (৬ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। রাজধানীতে ১৫০টি ট্রাকে এই পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তালিকা করে ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে। তবে শুক্রবার বন্ধ থাকবে। এরপর দুই দিন বন্ধ থাকার পর ২৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও এসব পণ্য বিক্রি করা হবে রাজধানীতে। আর ঢাকার বাইরে শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে।

টিসিবি জানায়, এবার একজন ভোক্তা ৩০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি পেঁয়াজ, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি, ১১০ টাকা দরে দুই লিটার তেল এবং ৬০ টাকা দরে এক কেজি মশুর ডাল কিনতে পারবেন। প্রতি ট্রাকে ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি চিনি, ডাল, পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া সয়াবিন তেল ৫০০ থেকে এক হাজার লিটার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ডিলারদের।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে

ছবি: সংগৃহীত

ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বর্তমানে সিএমপি কোতয়ালি থানায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে তাকে।

এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

Header Ad

মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে মুরগীর বাচ্চার অতিরিক্ত দাম স্থিতিশীল করে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এক গণ বিবৃতি দেয় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) এর সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। অথচ পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০-১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

তিনি দাবি মতে, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০-১২টি কর্পোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কর্পোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

নতুন এই দাম আজ (২৬ নভেম্বর) থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাজুস। গতকাল (২৫ নভেম্বর) সোমবার রাতে সংগঠনটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৪ নভেম্বর থেকে। আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল।

আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এ ছাড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল। এছাড়া, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ