রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোক্তাদের হাঁসফাঁস

নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হলেও প্রতিটি জিনিসের দাম সম্প্রতি এত বেড়ে গেছে যে ভোক্তাদের আয়ে সংকুলান হচ্ছে না। অনেকেরই ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে। আবার অনেকে জিনিসপত্র কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।

ক্রেতারা বলছেন, অনেক আগে থেকে করোনার প্রভাব তো আছে, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম। এভাবে চলা যায় না। ভোক্তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা। তারা সরকারের দিকে চেয়ে আছেন।

শরিবার (৫ মার্চ) সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারে ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারে ঢাকাপ্রকাশকে অবসরে যাওয়া চাকরিজীবী মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম এত বেড়ে গেছে যে, চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। দেনা করে চলতে হচ্ছে। আগের মতো কোনো জিনিস বেশি করে কেনা তো দূরের কথা, খুব দরকার না হলে কোনো কিছু কিনছি না।’ তিনি দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে ক্ষোভ ও অসহায়ত্বও প্রকাশ করেন।

সানাউল্লাহ আরও বলেন,‘কী আর বলব? প্রায় দুইবছর ধরে চলছে করোনা আবার আয়ও বাড়েনি। কিন্তু সংসারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে প্রতিদিন খাবারের যে খরচ তো থেমে নেই বরং বাড়ছে। এই যেমন ৫ লিটার তেলের দাম হয়ে গেছে ৮০০ টাকা, যা কয়েক মাস আগে ৬৫০ টাকা ছিল। আবার ৮৫ টাকার হুইল পাওডার হয়ে গেছে ১০০ টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে আগে কখনো জিনিসের দাম বাড়তে দেখিনি। সরকারের উচিত যেভাবেই হোক লাগাম টেনে ধরা।’

শুধু টাউনহলে নয়, রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে অন্যান্য বাজারেও ভোক্তরা বলছেন, এভাবে জীবন চলে না। সরকারের কিছু করা উচিত বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তানজিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ের ব্যবধানে সব জিনিসের দাম অনেক বেড়ে গেছে। যার প্রভাব সংসার জীবনে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। চলা যাচ্ছে না। সব কিছু কেনা কমিয়ে দিয়েছি।’

তানজিমুল আরও বলেন, ‘আগে কিনতাম তিনটি হ্যান্ডওয়াশ আর আজ কিনলাম একটি। আগে রিকশায় চলাফেরা করলেও বর্তমানে প্রায় জায়গায়ই পায়ে হেঁটে চলা শুরু করেছি। কারণ, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় রিকশা ভাড়াও বেড়ে গেছে।’

শুধু চাকরিজীবী নয়, ব্যবসায়ীরাও হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছেন। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে টাউনহলের হাজী স্যানিটারীর মো. আকতারুজ্জামান বাবু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কী আর বলব ভাই। করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিল। তারপর মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল ও সাবান থেকে শুরু করে সব জিনিসের দামই বাড়ছে। কিন্তু আয়তো বাড়েনি বরং লোকসান গুনতে গুনতে ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনের ব্যবসা, এভাবে দেনা করে চলা যায় না। যেকোনো সময় আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’

এদিকে কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আগে বেশি করে মাছ, মাংসসহ অন্যান্য জিনিস পত্র বেশি করে কিনতাম। এখন তা কমিয়ে দিয়েছি। কারণ, আয়তো আর বাড়েনি। অন্যান্য খরচও তো আছে। এভাবে চলা যায় না। সরকারের কিছু করা উচিত।’

শুধু এই কয়েকটি বাজারের কয়েকজন ভোক্তা নয়, সারা দেশের প্রায় ভোক্তাদের একই দশা। কারণ,করোনাকালে সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ব্যাংক, বীমা থেকে শুরু করে গার্মেন্টসসহ সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ লাখ মানুষ। অনেকে এখনো কর্মে ফিরতে পারেনি।

জেড/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক